বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > বিদ্যাসাগর শিল্পতালুক গড়ে তুলেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, আজ সেখানে পড়ে ফাঁকা জমি

বিদ্যাসাগর শিল্পতালুক গড়ে তুলেছিলেন বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, আজ সেখানে পড়ে ফাঁকা জমি

বিদ্যাসাগর শিল্পতালুক

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত হয়েছেন। তাই বিষয়টি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। এখনও ৭০০ একর জমি ফাঁকা রয়েছে। খড়্গপুরে শিল্পের জন্য ২০০৪ সালে জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকার। ২০০৬ থেকে সেই কাজ করে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় শিল্প–বাণিজ্য নিয়ে আসতে চেয়েছেন।

সিঙ্গুরে টাটা গোষ্ঠীর ন্যানো গাড়ির কারখানা গড়ে ওঠেনি। নন্দীগ্রামে কেমিক্যাল হাব গড়ে ওঠেনি। কিন্তু বিতর্ক তৈরি হয়েছিল বিস্তর। রাজ্য–রাজনীতিতে ক্ষমতা বদলের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায় এই দুটি জায়গায় শিল্প করতে গিয়ে। কিন্তু রাজ্যের শিল্প মানচিত্রে খড়্গপুরকে জুড়ে দিতে সফল হয়েছিলেন বামফ্রন্ট সরকারের শেষ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। বিদ্যাসাগরের জেলায় প্রায় সাড়ে ১১০০ একর জমিতে গড়ে উঠেছিল বিদ্যাসাগর শিল্পতালুক। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের হাতেই তা তৈরি হয়েছিল।

বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য খড়্গপুরের এই বিদ্যাসাগর শিল্পতালুক গড়ে তোলার পর সেখানে এসেছিল টাটা হিতাচি–সহ নানা শিল্পসংস্থা। কর্মসংস্থান হতে শুরু করেছিল। তার মধ্যেই বামফ্রন্ট সরকারের পতন হয়। ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন এখানে কয়েকটি প্রস্তাবিত কারখানা চালু হলেও বেশিরভাগ জমি ফাঁকাই রয়ে গিয়েছে। এই ফাঁকা জমিতে গড়ে তোলা হয়েছে স্টেডিয়াম, বিশিষ্টদের থাকার সরকারি কটেজ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় শিল্প–বাণিজ্য নিয়ে আসতে চেয়েছেন। এই বিদ্যাসাগর শিল্পতালুকে তা গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন।

আরও পড়ুন:‌ পুরনো পারমিটে নতুন বাস চালাতে শর্ত দিল পরিবহণ দফতর, জারি হয়েছে নির্দেশিকা

খড়্গপুরে শিল্পের জন্য ২০০৪ সালে জমি অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সরকার। ২০০৬ থেকে সেই কাজ শুরু করে রাজ্য শিল্পোন্নয়ন নিগম। আর তাই খড়্গপুর শহরের উত্তর–পূর্ব কোণে জফলা, রুইসন্ডা, রূপনারায়ণপুর, বড়ডিহা, চকগণেশ, জিহারপুরে মোট ১১৬৬ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। প্রতি একরে ১০ লক্ষ টাকা দিয়ে স্থানীয় কৃষকদের থেকে নেওয়া হয়েছিল জমি। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়, পরিবার পিছু একজনের চাকরি সেখানে হবে। আসে টেলকন (টাটা হিতাচি), হার্ডরক, গণপতি অটো, ট্রাক্টর ইন্ডিয়া লিমিটেড, বিআরজি, একরোপল্লি–সহ নানা শিল্পসংস্থা।

চাকরি কি তখন হয়েছিল?‌ এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যেহেতু প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রয়াত হয়েছেন। তাই বিষয়টি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক। এখনও এখানে ৭০০ একর জমি ফাঁকা পড়ে রয়েছে। এখানের শিল্পসংস্থা টাটা হিতাচির কর্মী বিজন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‌বামফ্রন্ট সরকারের শেষে টাটা হিতাচিতে চাকরি পাই। আমি জমিদাতা পরিবারের যুবক। তবে এখানে অন্যান্য বেকার যুবকরাও বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের দৌলতে চাকরি পেয়েছেন।’‌ এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি গোপাল খাটুয়া বলেন, ‘‌বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের প্রচেষ্টা প্রশংসনীয়। তবে পরবর্তীকালে আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সময়েও এই শিল্পতালুকে আরও শিল্পসংস্থা এসেছে এবং কর্মসংস্থান হয়েছে।’‌

বাংলার মুখ খবর

Latest News

এবারের ভাদ্র পূর্ণিমায় চন্দ্রগ্রহণ! দেখে নিন তিথি, সময়কাল রোজ সকাল ৫টায় চা নিয়ে আসেন ডাক্তারের ধর্নাস্থলে, চিনে নিন কেষ্টপুরের দাদা-বউদিকে 'ম্যাডাম' মমতার ডাকে সাড়া, শনির পর আজও কালীঘাটে বৈঠকে যাচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তররা মার্সিডিজ-BMWর রেষারিষি! দুই গাড়ির ধাক্কা Wagon R-এ, দুর্ঘটনা মুম্বইতে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হল মামলা, ঝুলে গেল উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার নিয়োগ প্রক্রিয়া যে রাহুল গান্ধীর জিভ কেটে নিতে পারবে তাকেই ১১ লাখ দেব, ঘোষণা বিধায়কের পাক বংশদ্ভূত নেট বোলারে মুগ্ধ রোহিত! স্লোয়ার বলের খুটিনাটি জানতে চান বুমরাহও! ‘আজ নবী দিবস’, কালীঘাটে জুনিয়র ডাক্তারদের ডেকেছেন কেন? কারণ ব্যাখ্যা মমতার! ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে ফের যৌন হেনস্থা, অভিযুক্ত জাতীয় পুরস্কারজয়ী কোরিওগ্রাফার 'ওদের লেভেলে নামব না,ওটা আমার শিক্ষা নয়', দেবাংশু-কুণালকে মোক্ষম জবাব মৌসুমীর

Copyright © 2024 HT Digital Streams Limited. All RightsReserved.