ভাইঝির দাম্পত্যকলহ মেটাতে গিয়ে খুন হলেন কাকা। নিহতের নাম আসফাক আলম (৪৭)। গত রবিবার ভাইঝি সগুপ্তা খাতুনের শ্বশুরবাড়িতে মারধর করা হয় তাঁকে। শনিবার ভোরে NRS হাতপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। এই ঘটনায় ভাইঝির শ্বশুরবাড়ির ৩ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আর ৩ জনের খোঁজ চলছে।
নিহতের পরিবারের দাবি, বজবজ পুর এলাকার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ছোট মসজিদ এলাকার বাসিন্দা নাবিলের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সগুপ্তার। কিন্তু কয়েকদিন আগে বাবার বাড়ি ফিরে আসেন তরুণী। বিষয়টি মিটমাট করতে গত রবিবার রাতে ভাইঝির শ্বশুরবাড়ি যান আসফাক আলম। সেখানে দুপক্ষের মধ্যে বচসা বাঁধলে তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই রাতেই প্রৌঢ়কে NRS মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়। তার পর থেকে তাঁর অবস্থার ক্রমশ অবনতি হচ্ছিল। শনিবার ভোরে মৃত্যু হয় তাঁর। এর পর মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে নাবিলের পরিবারের ৩ সদস্যকে আটক করে পুলিশ। আরও ৩ জনের খোঁজ চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা।
ওদিকে নাবিলের পরিবারের দাবি, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ছিল সগুপ্তার। তাই তাঁকে বাবার বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মিটমাটের নামে বাড়িতে এসে তাদের ওপর ছুরি নিয়ে হামলা চালানোর চেষ্টা করেন আসফাক। আত্মরক্ষার স্বার্থের তাঁকে মারধর করা হয়েছিল।
নিহতের স্ত্রী জানিয়েছেন, ভাইঝির দাম্পত্যকলহ মেটাতে ওর শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন স্বামী। ওখানে ওকে খুব মেরেছে। মেরে নাক মুখ ফাটিয়ে দিয়েছে। তার পরেও মারধর বন্ধ করেনি ওরা। অভিযুক্তদের কঠিন শাস্তি দাবি করেছে মৃতের পরিবার। তদন্ত শুরু করেছে বজবজ থানার পুলিশ।