আবার বিজেপিতে ভাঙন। খোদ জিতেন্দ্র তিওয়ারির গড়ে দাঁড়িয়ে বিজেপিতে ভাঙন ধরাল তৃণমূল কংগ্রেস। আর তাতেই রেগে গেলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। এটা যে ঘটবে তা তিনি ভাবতে পারেননি। কারণ বিজেপি ছাড়লেন পশ্চিম বর্ধমানের সহ–সভানেত্রী। রবিবার পাণ্ডবেশ্বরে সায়নী ঘোষ ও স্থানীয় বিধায়কের নেতৃত্বে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন সোনালি গিরি। আর তাঁর এই দলত্যাগ নিয়ে জোর চর্চা শুরু।
এদিন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন বিজেপির পশ্চিম বর্ধমানের সহ–সভানেত্রী সোনালি গিরি। পাণ্ডবেশ্বরে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষের উপস্থিতিতে হয় দলবদল। কিন্তু কেন তাঁর দলবদলে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি? জানা গিয়েছে, এই সেই সোনালি গিরি। যাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন খোদ জিতেন্দ্র। এমনকী গত ১১ অগস্ট, খোট্টাডিহি এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী–সমর্থকদের প্রবল বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তখন তিনি বসে পড়েন মাটিতে।
আর তারপর কয়েকদিনের মধ্যেই শিবির বদল করলেন বিজেপি নেত্রী। এটাই মেনে নিতে পারেননি জিতেন্দ্র বলে ঘনিষ্ঠমহলে জানিয়েছেন। আর সোনালি গিরি বলেন, ‘জেলার দায়িত্বে ছিলাম। এখানে তৃণমূল কংগ্রেস উন্নয়নের কাজ করছে। এখানের বিধায়ক কাজ করছেন। তাই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলাম।’ এই মন্তব্যও জিতেন্দ্রর ক্ষোভের আগুনে ঘৃতাহুতির কাজ করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। একই মঞ্চে দেখা যায় পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীকেও। অথচ ১১ তারিখ তাঁকেই দেখা গিয়েছিল আক্রমণ শানিয়েছিলেন সোনালির বিরুদ্ধে।
সেদিন নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেছিলেন, বিজেপি নেত্রীর বাড়িতে এসেছিলেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। ওই নেত্রী আগে টাকা নিয়েছিলেন চাকরির নামে। কর্মপ্রার্থীরা আজ টাকা চাইতে গিয়েছিলেন। তাই এই বিক্ষোভের মধ্যে পড়েছিলেন জিতেন্দ্র। আর আজ তিনি বলেন, ‘সেদিন যত না বিক্ষোভ ছিল সোনালির বিরুদ্ধে, তার চেয়ে বেশি ক্ষোভ ছিল জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধে। তাই মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছিল। এখন সোনালি উন্নয়নে সামিল হতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন।’ এরই পাল্টা দিয়েছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি বলেন, ‘প্রমাণ হল সোনালি দুর্নীতিগ্রস্ত নয়। আজও পরিষ্কার ভাবমূর্তি রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস প্রমাণ করল সেদিন ভুল বলেছিল।’