জমির মালিক কারা? জমির অধিকার কার? এই প্রশ্নই এথন ঘুরপাক খাচ্ছে বর্ধমান জুড়ে। কারণ জমির মালিকদের চাপ দিয়েই জমি হস্তান্তর করতে চাইছে বলে অভিযোগ। এমনকী এই অভিযোগ উঠেছে খোদ বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের বিরুদ্ধে। আর এই দফতরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলল খোদ জমির মালিকরা। আর তাতেই এখন শোরগোল পড়ে গিয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে বর্ধমানে? জমির মালিকদের সূত্রে খবর, এখানের আলিশা মৌজার পাশ দিয়ে গিয়েছে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক। এই জাতীয় সড়ক এখন সিক্স লেন হবে বলে খবর। সে কথা প্রাথমিকভাবে বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদ জমির মালিকদের ডেকে জানিয়েছিল। কিন্তু জমির মালিকদের অভিযোগ, এই কথা জানিয়েই চাপ দেওয়া শুরু হয়, তাঁদের জমি বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদকে হস্তান্তর করতে হবে।
কয়েকজন জমির মালিক বলেন, ‘প্রাণ দেব কিন্তু জমি দেব না। এভাবে শুধু নিজেদের কথা জানিয়েই জমি অধিগ্রহণ করতে চায় তাঁরা। আলিশা মৌজার জমি দেওয়া হবে না। সরাসরি জানিয়ে দিয়েছি এই জমি দেওয়া হবে না।’ তারপরই বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদ চিঠি দিয়ে আজ, ২৪ অক্টোবর জমির মালিকদের নিয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত করতে চাওয়া হয়েছে। এই চিঠি হাতে পেয়েই ক্ষোভে ফুঁসছেন জমির মালিকরা।
স্থানীয় সূত্রে খবর, এই জমিতে চাষাবাদ হয়। আর তা যদি কেড়ে নেওয়া হয় তাহলে চাষবাস বন্ধ হয়ে যাবে। সরাসরি রুটি–রুজিতে টান পড়বে। এমনকী এই জমি বাবদ খাজনা পর্যন্ত দেওয়া হয়। তাহলে অযথা চাপ দিয়ে এই জমি নিয়ে নিতে চাওয়া হচ্ছে কেন? উঠেছে প্রশ্ন। তাই প্রয়োজনে রাস্তায় শুয়ে আন্দোলন করা হবে। আর তাতেও যদি না হয় তাহলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেওয়া হবে। কারণ তিনি জমি আন্দোলন করে উঠে এসেছেন। আইনি পদক্ষেপও করা হবে।