আর একদিন পরই মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর মাধ্যমিকের ছাত্রী পড়তে না বসে ফোন ঘাটছিল বলে অভিযোগ। আর সেটা দেখতে পেয়ে বকাবকি করেন বাবা এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা। আর এই বকা খেয়ে অভিমানে অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী হল এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। আজ, শনিবার মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর এলাকায়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে এলাকায়। জোর চর্চা শুরু হয়েছে। আর ওই মৃত ছাত্রীর বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এখন এই ঘটনার জন্য নিজেকেই দায়ী করছেন আত্মঘাতী ছাত্রীর বাবা।
এদিকে আত্মঘাতী মাধ্যমিক ছাত্রীর নাম মনীষা ঘোষ(১৬)। তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর থানার জামদহে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ছাত্রী মনীষা ঘোষ চলতি বছর মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে বলে সব ঠিকই ছিল। আগামী সোমবার থেকে শুরু হতে চলেছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। তার আগে পড়তে না বসে মোবাইল ঘাটছিল মনীষা। আর তা দেখে রেগে যান তার বাবা। হালকা বকাবকি করেন তিনি ও অন্যান্যরা। জামালপুরের চক্ষণজাদি হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল মনীষা। শুক্রবার রাতে ছাত্রীর বাবা পড়াশোনা নিয়ে বকাবকি করেন। তারপর শনিবার সকালে বাবা কাজে বেরিয়ে গেলেও বকুনির বিষয়টি মনে করে রেখেছিল সে। তারপরই নিয়ে নেয় চরম সিদ্ধান্ত। যা শোকের ছায়া বয়ে নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: মাধ্যমিকের প্রাক্কালে উচ্চগ্রামে বাজছিল বক্স, বন্ধ করতে গেলে মাথা ফাটল পুলিশের পান্ডুয়ায়
অন্যদিকে বাবা কাজে বেরিয়ে গেলে অভিমানে বোতল পরিষ্কার করার অ্যাসিড খেয়ে নেয় মনীষা। পরিবারের সদস্যরা তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার দায়ের করেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করার জন্য পাঠায় বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের পুলিশ মর্গে। মৃত ছাত্রীর বাবা উত্তম ঘোষ বলেন, ‘পড়াশোনা নিয়ে একটু বকুনি দিয়েছিলাম। তা নিয়ে আজ, রবিবার সে অ্যাসিড খেয়ে নেয়। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা বলেন, ও আর বেঁচে নেই।’ কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত ছাত্রীর বাবা।
এছাড়া আবার এক পড়ুয়ার আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় বীরভূমের সাঁইথিয়াতে শোরগোল পড়ে যায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, পরীক্ষায় কেন প্রথম হতে পারলেন না? নিজের মনে প্রশ্ন তুলে মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হন মেধাবী পড়ুয়া। মেস থেকে উদ্ধার হল মেধাবী ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। মৃতের নাম শুভেচ্ছা ঘোষ। বাড়ি বীরভূমের সাঁইথিয়ায়। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগের স্নাতকোত্তরের তৃতীয় সেমিস্টারের ছাত্রী ছিলেন শুভেচ্ছা। বৃহস্পতিবার রাতেও তাঁর দিদির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন। আর শুক্রবার সকাল থেকে ফোন সুইচ অফ ছিল। মেস কর্তৃপক্ষকে ফোন করেন শুভেচ্ছার বাড়ির সদস্যরা। ঘরে গিয়ে ওই ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তিনি।