উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙায় ফের চাষের জমিতে উদ্ধার হল দগ্ধ দেহ। বুধবার সকালে আমডাঙার হরিশ্চন্দ্রপুরে চাষের ক্ষেতে এক মহিলার দগ্ধ দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। এই এলাকার কাছেই দত্তপুকুর থানা এলাকায় গত ৪ ফেব্রুয়ারি এই আমডাঙার কাছেই উত্তর ২৪ পরগনার বামনগাছিতে উদ্ধার হয়েছিল হজরত লস্কর নামে এক দুষ্কৃতীর মুণ্ডহীন দেহ। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা রাজ্যে শোরগোল পড়ে। বুধবার যেখান থেকে দেহ উদ্ধার হয়েছে সেই জায়গাটি ওই এলাকা থেকে খুব দূরে নয়।
স্থানীয় চাষিরা জানিয়েছেন, বুধবার সকালে চাষের কাজে মাঠে গিয়ে তাঁরে এক মহিলার দগ্ধ দেহ দেখতে পান। এর পর পুলিশে খবর দিলে আমডাঙা থানার পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, মহিলা স্থানীয় বাসিন্দা নন। তাঁকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়ে থাকতে পারে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারাকপুর বিএন বসু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমডাঙা ও আসেপাশের থানার নিখোঁজ ডায়েরি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে মহিলার পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
বলে রাখি, গত ৪ ফেব্রুয়ারি আমডাঙা থানা লাগোয়া দত্তপুকুর থানা এলাকার বামনগাছিতে মাঠ থেকে এক যুবকের মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে জলিল ও সোফিয়া নামে স্বামী - স্ত্রী হজরত নামে ওই দুষ্কৃতীকে খুন করেছে। এর পর হজরতের কাটা মুন্ডু নিয়ে পালিয়ে গিয়েছে জলিল। অভিযুক্তকে কাশ্মীর থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ জানতে পারে, খুন হওয়া হজরত সোফিয়ার ওপর যৌন নির্যাতন চালাত হজরত। তার জেরেই ওই দুষ্কৃতীকে স্বামী - স্ত্রী মিলে খুন করে বলে জানায় পুলিশ।