সাত সকালে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল বাস চালকের। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চণ্ডীতলার কলাছড়ার কাছে ১৪ নম্বর গেট এলাকায়। স্কুল পড়ুয়া ও অভিভাবকদের নিয়ে পিকনিকে যাওয়ার সময় বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি ধাক্কা মেরে খালে উল্টে যায়। তার জেরে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। এছাড়াও আরও ৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
আরও পড়ুন: মহালয়ার সকালে কাকদ্বীপে দুর্ঘটনা, আহত ১০, কলকাতায় JCB-র ধাক্কায় মৃত পড়ুয়া
জানা গিয়েছে, হতাহতরা সকলেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবনের মৈপীঠ এলাকার বাসিন্দা। এদিন সকালে ওই বাসটি পুরুলিয়ার অযোধ্যা পাহাড়ের উদ্দেশ্যে মৈপীঠ এলাকা থেকে ছাত্র এবং অভিভাবকদের ভর্তি করে যাচ্ছিল। ডানকুনি থেকে চাঁপাডাঙার দিকে যাওয়ার সময় অহল্যাবাঈ রোডে আসতেই ঘটে বিপত্তি। জানা গিয়েছে, দ্রুত গতিতে বাসটি প্রথমে একটি লরিকে ধাক্কা মারে তারপর সেটি পাশের খালে উল্টে যায়।
বাসটিকে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে দেখেই উদ্ধারকাজে এগিয়ে আসেন স্থানীয়রা। তারাই প্রাথমিকভাবে হতাহতদের উদ্ধার করেন। পরে পুলিশ এসে তাদের চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চালক রাজু হালদারকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। জানা গিয়েছে, ওই বাসটিতে ভুবনেশ্বরী জয়কৃষ্ণ হাই স্কুল এবং মধ্যপূর্বা আদ্রাসাথে বিদ্যাপীঠ স্কুলের কিছু পড়ুয়া ও তাদের অভিভাবকদের ছিলেন। মোট দুটি বাস পিকনিকের উদ্দেশ্যে এলাকা থেকে রওনা দিয়েছিল সকালে। সব মিলিয়ে দুটি পাশে ১০০ জন যাত্রী ছিল।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, চালক ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। তার জেরে এই দুর্ঘটনা। যে লরিতে বাসটি ধাক্কা মেরেছে তাতে কাচের বোতল ভর্তি ছিল। ধাক্কার অভিঘাতে লরি থেকে বোতল ছিটকে বেশ কয়েকজন আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, দুটির মধ্যে একটি বাস আগে আরামবাগ পৌঁছে গিয়েছিল। তবে দ্বিতীয় বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে জানতে পরেই ওই বাসটি চণ্ডীতলায় ফিরে আসে। পরে বাসটি পড়ুয়াদের নিয়ে মৈপীঠে ফিরে যায়। দুর্ঘটনার জেরে বাসটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এবিষয়ে পুলিশ জানিয়েছে, কিছু আহত যাত্রীকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় চালকের পরিবারে শোকের ছায়া নেমেছে। চালক মদ্যপ ছিলেন কি না তাও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।