আজ, মঙ্গলবার সকালে বড় দুর্ঘটনা ঘটল বন্দরশহর হলদিয়ায়। হলদিয়ার বালুঘাটা থেকে কুকড়াহাটি যাচ্ছিল বাসটি। তখনই দুর্ঘটনার কবলে পড়ে যাত্রীবাহী বাসটি। এই এলাকাটি ভবানীপুর থানার চকদ্বীপার অন্তর্গত। আর সেখানেই দুর্ঘটনা ঘটে। বাসটির গতি তীব্র থাকায় তা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। আর সজোরে একটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। বাসটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারার পর ছিটকে পড়ে একটি গভীর পুকুরে। তৎক্ষণাৎ স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার কাজে নামেন। বাসের মধ্যে থেকে যাত্রীদের দ্রুত উদ্ধার করে আনা গিয়েছে বলে খবর। আহতদের ইতিমধ্যেই স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন ভবানীপুর থানার পুলিশ।
ঠিক কী ঘটেছে হলদিয়ায়? স্থানীয় সূত্রে খবর, তীব্র গতিতে একটি বাস যাত্রীদের নিয়ে শব্দ করে ছুটে আসছিল। কুকড়াহাটি যাওয়ার কথা ছিল বাসটির। কিন্তু তার আগেই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। আর ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। ধাক্কা মারার সঙ্গে সঙ্গে বাসটি উলটে গিয়ে গভীর পুকুরে পড়ে। সেটা দেখে ওখানে উপস্থিত বাসিন্দারা উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তবে কেউ জলে তলিয়ে গিয়েছে কিনা জানা যায়নি। ফলে আতঙ্কিত মানুষজন।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, এটা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাওয়ার ফলেই ঘটেছে। বাসের গতি অনেক বেশি ছিল। যার জন্যই এই দুর্ঘটনা। এই দুর্ঘটনাগ্রস্ত বাসটিতে প্রায় ৪০ জন যাত্রী ছিলেন। দুর্ঘটনার জেরে সব যাত্রীই জখম হয়েছেন। যাত্রীদের মধ্যে ৫ জন মহিলা এবং ৪ জন শিশু ছিল। তবে সবাইকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে ভবানীপুর থানার পুলিশ।
আর কী জানা যাচ্ছে? আজ, মঙ্গলবার যে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে সেটা আরও মারাত্মক আকার নিতে পারত। স্থানীয় মানুষজন সঙ্গে সঙ্গে পুকুরে ঝাঁপিয়ে উদ্ধার কাজে না নামলে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটত। বাসটি গভীর পুকুরে পড়ে অনেকটাই ডুবে গিয়েছিল। ভিতর থেকে তখন আর্তনাদ শোনা যাচ্ছিল। তখনই স্থানীয় মানুষজন সেখানে নেমে উদ্ধার করতে শুরু করে। কোনও যাত্রী জলে তলিয়ে গিয়েছেন কি না, তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। বাসটিকে জল থেকে টেনে তোলার কাজ শুরু হয়েছে।