করোনা আবহের মধ্যেই রাস্তায় বেসরকারি বাস চলতে শুরু করেছে। সরকারিভাবে ভাড়া এখনও বাড়ানো হয়নি। কিন্তু অনেক জায়গায় বেশি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে সরকারের তরফে কড়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হল, অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হলে সেই বাসের পারমিট বাতিল করে দেওয়া হবে। যদিও ভাড়া বাড়ানোর সিদ্ধান্তে এখনও অনড় বাস মালিকরা।
সম্প্রতি রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছিলেন, অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়া হলে যাত্রীরা যদি সেই টিকিট দেখিয়ে থানায় অভিযোগ করেন, তাহলে সত্যতা প্রমাণিত হলে বাসের পারমিট বাতিল করে দেওয়া হবে। এই প্রসঙ্গে জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের যুগ্ম সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ভাড়া বেশি নিতে কেউ চাইছে না। কিন্তু সরকার বর্ধিত ভাড়ায় বৈধতা দিতে চাইছে না কেন? গত বছর এই কাণ্ড হয়েছে। এই বছরও হয়েছে। পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি ও যন্ত্রাংশের দাম বৃদ্ধির ফলে বাস চালানো সম্ভব নয়। তিনি প্রশ্ন তোলেন, শুধু বাসের ক্ষেত্রেই এই নিয়ন্ত্রণ কেন? কেনই বা অটোর ক্ষেত্রে এই নিয়ন্ত্রণ নেই? একই সঙ্গে অল বেঙ্গল বাস–মিনিবাস সমন্বয় সমিতির যুগ্ম সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় জানান, ‘নিজের মতো করে ভাড়া বেশি নেওয়া বেআইনি। বাস চালক, কন্ডাকটররা যা করছেন, সেটা ভিক্ষা অনুদান নেওয়া হচ্ছে। বাস থেকে আয়ের ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে সরকারের। অথচ দিনের পর দিন পেট্রল, ডিজেলের দাম বেড়েই যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।’
উল্লেখ্য, এর আগে করোনার বিধি নিষেধ শিথিল হওয়ার পর বাস চালু করার অনুমতি দিয়েছিল সরকার। কিন্তু তখন সরকারি বাসকে রাস্তায় নামতে দেখা গেলেও অধিকাংশ বেসরকারি বাসই রাস্তায় নামেনি। ফলে পরিবহণ ব্যবস্থায় সমস্যা দেখা দেয়। এরপর দফায় দফায় সরকারের সঙ্গে বৈঠক করেন বাস মালিকরা। সেই বৈঠকে ঠিক হয়, ধীরে ধীরে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ভাড়া বাড়ানোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। তখনই পরিবহণ মন্ত্রী অনুরোধ করেন, রাস্তায় আগে বাস নামান। তারপর ভাড়া বাড়ানোর বিষয়টি ভাবা হবে।