মুখ্যমন্ত্রী রানিগঞ্জের প্রশাসনিক সভা থেকে আসানসোলের কালীপাহাড়ির বাস টার্মিনালের উদ্বোধন করেছেন। অথচ এখনও টার্মিনালের বহু কাজই বাকি। তাহলে কবে তা চালু হবে বাস টার্মিনাল? উঠেছে প্রশ্ন। টার্মিনালটি অত্যন্ত দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকায় তৈরি হয়েছে বলেও মত এলাকার নানা পক্ষের। তারপরও তা চালু না হওয়ায় ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, এক–দশক আগে আসানসোল শহরকে যানজট মুক্ত করতে শহরের বাইরে দূরপাল্লার বাস টার্মিনাল তৈরির দাবি উঠেছিল। কারণ আন্তঃরাজ্য ও আন্তঃজেলা–সহ সমস্ত দূরপাল্লার বাস সিটি বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়ায়। কিন্তু সেখানে জায়গা না পেয়ে বাসগুলি জিটি রোডের অর্ধেক অংশ দখল করে নেয়। ফলে, তীব্র যানজট তৈরি হয়। ২০১৮ সালে রাজ্য সরকার কালীপাহাড়িতে বাস টার্মিনাল তৈরির কাজ শুরু করে। ঠিক হয়, দিল্লি ও কলকাতামুখী আন্তঃরাজ্য ও আন্তঃজেলার দূরপাল্লার বাসগুলি এই টার্মিনালে থামবে।
এদিকে বাস–মালিক সংগঠনগুলি জানিয়েছে, কালীপাহাড়ির ওই টার্মিনালে বাস দাঁড়ানোর মতো পরিকাঠামো এখনও তৈরি হয়নি। জল, বিদ্যুৎ সংযোগ, টার্মিনালে ঢোকা–বেরনোর রাস্তা–সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ পরিকাঠামোর কাজও হয়নি। যদিও এসবিএসটিসি’র চেয়ারম্যান দীপ্তাংশু চৌধুরীর আশ্বাস, ‘কিছু কাজ বাকি আছে। দ্রুত শেষ করে টার্মিনালটি চালু হবে।’
জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের বারওয়াড্ডা প্রজেক্ট ডিরেক্টর মলয় দত্ত জানান, কালীপাহাড়ি সেতুর উপরে জাতীয় সড়কের একটি লেন এখনও তৈরি হয়নি। দিল্লি ও কলকাতামুখী দুই বিপরীত দিকের যানবাহনকেই কলকাতামুখী লেন দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে। এই অবস্থায় জাতীয় সড়ক লাগোয়া টার্মিনালটি খুবই দুর্ঘটনাপ্রবণ।