আজ কালীপুজো। আর তা নিয়ে মেতে উঠেছেন বাংলার মানুষজন। কিন্তু আগামী ১৩ নভেম্বর বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। এই আবহে কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখা ছিল ৮৯ কোম্পানি। কিন্তু এবার সেই সংখ্যা আরও বাড়িয়ে দেওয়া হল। আরও ১৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী বৃদ্ধি করা হয়েছে ৬টি কেন্দ্রের উপনির্বাচনের জন্য। মোট ১০৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে বলে খবর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ দু’দিন আগে বাংলায় এসেছিলেন। তখন বঙ্গ–বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল। আর এই সফরের তিনদিনের মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে আগামী ১৩ নভেম্বর পাঁচটি জেলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন আছে। সেই বিধানসভা কেন্দ্রগুলি হল— নৈহাটি, হাড়োয়া, মেদিনীপুর, তালড্যাংরা, মাদারিহাট এবং সিতাই। তবে এই উপনির্বাচন শুরু আগে প্রথমে ৮৯ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। কিন্তু তিনদিনের মাথায় সেই সিদ্ধান্ত পাল্টে গেল। এখন রাজ্যের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে মোট ১০৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখানে যেটা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সেটা হল, এই ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে দুটি আছে উত্তরবঙ্গ থেকে। তাই বাড়তি বাহিনী বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: পথঘাট প্লাবিত, রেললাইন ধরে গ্রামে ফিরছিলেন, দিঘা–পাঁশকুড়া লাইনে তিনজনের মর্মান্তিক মৃত্যু
অন্যদিকে এখন সিআরপিএফ বাড়ানো হয়েছে ৫ কোম্পানি, বিএসএফ বাড়ানো হচ্ছে ১০ কোম্পানি। আর সিআইএসএফ এবং আইটিবিপি দুই কোম্পানি করে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনার পর বাংলায় এটাই প্রথম নির্বাচন। এখানেই বোঝা যাবে আরজি কর ঘটনার কোনও প্রভাব মানুষের মনে পড়েছে কিনা। আর এই ঘটনাকে প্রচারে নিয়ে এসে প্রধান বিরোধী দল ভোটবাক্স ভরতে চাইছে। একই পথে হাঁটছে সিপিএম এবং কংগ্রেস। সুতরাং চতুর্মুখী লড়াইয়ে এই তিন বিরোধী দল কতটা ভোট পায় সেটাই এখন দেখার।
তবে তৃণমূল কংগ্রেস মনে করছে, আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা কোনও প্রভাব ফেলবে না। কারণ রাজ্য সরকার জুনিয়র ডাক্তারদের পাশে ছিল। রাজ্য সরকারের উদ্যোগেই উঠে যায় জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি, অনশন। এখন স্বাভাবিক কাজ শুরু হয়েছে সরকারি হাসপাতালে। সেখানে জুনিয়র ডাক্তারদের সমস্ত দাবি মেনে নিয়ে কাজ করেছে রাজ্য সরকার। তাই উন্নয়নের উপর ভর করেই নির্বাচনী সাফল্য আসবে বলে তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের দাবি। অমিত শাহের বঙ্গ–সফরের সময় আইনশৃঙ্খলা নিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া। তারপরই বেড়ে গেল কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা।