হাতে আর একদিন বাকি। তারপরই শুরু হয়ে যাবে বাংলার ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। আর তাই আজ প্রচারের শেষ দিনে সকলেই ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এই আবহে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, উপনির্বাচনের ফল ৬–০ হবে। আর বিরোধীরা এই উপনির্বাচনে খড়কুটোর মতো উড়ে যাবে। সিতাই, মাদারিহাট, তালডাংরা, মেদিনীপুর, হাড়োয়া এবং নৈহাটি— রাজ্যের এই ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন ১৩ নভেম্বর। নির্বাচনী প্রচারের শেষ রবিবার কেটে গিয়েছে। আর আজ, সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় প্রচার শেষ। তাই নৈহাটিতে এসে প্রার্থী সনৎ দে’র হয়ে প্রচার করলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস।
এই প্রচার থেকেই ফলাফল পরিষ্কার করে দিলেন বিদ্যুৎমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে যেমন প্রার্থী সনৎ দে ছিলেন তেমনই সাংসদ পার্থ ভৌমিকও ছিলেন। পার্থ ভৌমিক সাংসদ হতেই এই উপনির্বাচন হচ্ছে। নৈহাটিতে রোড–শো করে অরূপ বিশ্বাস এই উপনির্বাচনের ভবিষ্যৎ ফলাফল বাতলে দেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, ‘বিজেপি ১ কোটি সদস্যই করুক আর ১৪০ কোটি সদস্যই করুক তবু গোহারা হারবে। একটি আসনেও জিততে পারবে না। প্রত্যেকটি আসনে বিপুল মার্জিনে জিতবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা। উপনির্বাচনের ফলাফল ৬–০ হবে।’
আরও পড়ুন: কুলতুলি সমবায় নির্বাচনে জোর ধাক্কা খেল সিপিএম, দুর্দান্ত জয় ছিনিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস
আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। সেখানে ৬টি কেন্দ্রই জিতবে তৃণমূল কংগ্রেস বলে দাবি করেছেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস থেকে শুরু করে কুণাল ঘোষ। আর নৈহাটিতে তো সিপিএম প্রার্থীই দেয়নি। একদা যা তাদের লালদুর্গ বলে পরিচিত ছিল। সেখানে সিপিআই (এমএল) লিবারেশনকে আসনটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। নৈহাটির তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে আবার দক্ষ সংগঠক বলেছেন বাংলার তিন প্রধান ক্লাব। তা নিয়ে বিরোধীরা উষ্মাপ্রকাশ করেছে। এই বিষয়ে বাংলার ক্রীড়ামন্ত্রীর বক্তব্য, ‘মহম্মদ সেলিমরা মহাশূন্যে আছেন। যেদিন মহাকাশে যাবো সেদিন তাঁদের সম্পর্কে মন্তব্য করব।’
টলিউডের ব্যক্তিত্ব, বরাহনগরের বিধায়ক সায়ন্তিকা নৈহাটির তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সনৎ দে’র সমর্থনে প্রচারে সামিল হন। সেখানে বাংলার বিদ্যুৎ ও ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নেতৃত্বে ঝড় ওঠে। দলীয় প্রার্থীকে নিয়ে মন্ত্রী মাঝিপাড়া ধরমপুর হস্টেল থেকে কাপা স্টেট ব্যাঙ্ক পর্যন্ত হুডখোলা জিপে প্রচার করেন। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে এখানেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, ‘পৃথিবীর কারও ক্ষমতা নেই ইস্টবেঙ্গল–মোহনবাগান–মহমেডানের মতো তিন বড় ক্লাবকে নিষিদ্ধ করতে পারে। তিন ক্লাবের কর্তা সনৎ দে’কে নিয়ে যে প্রশংসা করেছেন আমি মনে করি, ঠিক করেছেন। কল্যাণ চৌবেও তো আইএফএ’র প্রেসিডেন্ট। যিনি দু’বার বিজেপির প্রার্থী হযে হেরেছেন। তখন চিঠি লেখেননি কেন?’