দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আগামী ৯ নভেম্বর বাংলার প্রত্যেকটি ব্লকের বাজারগুলিতে বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবে প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি। সোমবার এই কথা বিধানভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। তার মধ্যে রাজ্যের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। উপনির্বাচনের প্রচারেও বাংলার পাঁচটি জেলায় ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রে কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। সুতরাং এবার কংগ্রেস অলআউট খেলতে মাঠে নামছে বলে মনে করা হচ্ছে।
কিন্তু এবার কংগ্রেস এই উপনির্বাচনে একক শক্তিতে লড়বে। বামেদের সঙ্গে জোট হয়নি কংগ্রেসের। তাই চতুর্মুখী লড়াইয়ে কংগ্রেস কতটা সুবিধা করতে পারবে তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই। তবে কংগ্রেস চাইছে একা লড়াই করে যদি বামেদের থেকে ভাল ফল করা যায় তাহলে আগামী দিনে জোটের ক্ষেত্রে তারা শর্ত আরোপ করতে পারবে। তবে এই উপনির্বাচনের প্রচারে বামফ্রন্টকে আক্রমণ না করে কংগ্রেসের জমি শক্ত করে ফসল ঘরে তোলার দিকেই নজর দিচ্ছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। আর তাই রাজ্যজুড়ে ঘটে চলা নারী নির্যাতনের ঘটনা নিয়েও সরব হন শুভঙ্কর। আবাস প্রকল্পে রাজ্যে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আক্রমণ শানান তিনি।
আরও পড়ুন: নারী নির্যাতন ইস্যুকে সামনে এনে উদ্বেগপ্রকাশ করলেন রাজ্যপাল, পাল্টা দিলেন কুণাল
এবার থেকে বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসকে একসঙ্গে বিঁধবেন বলেই সিদ্ধান্ত নেন শুভঙ্কর সরকার। নয়াদিল্লি থেকে ফিরে হাড়োয়ার গোঁসাইপুর প্রাথমিক স্কুলে রবিবার কংগ্রেসের কর্মিসভায় যোগ দেন। এই উপনির্বাচনের কংগ্রেস প্রার্থী হাবিব রেজা চৌধুরীর সমর্থনে একটি সভাও করেন। সেখানেই শুভঙ্কর বলেছেন, ‘কংগ্রেস আমলে নানা শহরে যেখানে কারখানা ছিল এখন সেখানে এই জমানায় বহুতল মাথা তুলেছে। বিজেপি এবং তৃণমূল কংগ্রেসের বিকল্প হিসেবে কংগ্রেসকে সুযোগ দিন।’ নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা সামাজিক ব্যাধির আকার নিয়েছে। তাই রাজ্যজুড়ে অবিলম্বে সব দল ও সর্বস্তরের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে নারীদের নিরাপত্তার স্বার্থে স্থানীয় স্তরে গণ সচেতনতা শিবির করার দাবি জানান তিনি।
এছাড়া বাংলায় আবাস যোজনা প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সুর চড়ান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর দাবি, ‘কেন্দ্র ও রাজ্যের দোষারোপের ঠেলায় সমস্যায় পড়ছেন গরিব মানুষ। তাঁরা আবাস যোজনার টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আমাদের দাবি আবাস যোজনা নিয়ে রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে শ্বেতপত্র প্রকাশ করতে হবে। কংগ্রেসই পারে এই রাজ্য এবং দেশকে বাঁচাতে। এই সংগ্রামে আপনাদের প্রত্যেককে এখন প্রয়োজন। আর তাই উপনির্বাচনের ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রেই আমি যাব। প্রত্যেক কেন্দ্রে কর্মিসভা ও মিছিল করা হবে।’