ভুয়ো নথি দিয়ে ই-ওয়ালেট তৈরি করে মোটা অঙ্কের টাকায় তা সাইবার অপরাধীদের বিক্রি করছিল অভিষেক মণ্ডল। সেই টাকায় সম্প্রতি গ্রামে একটি চার কামরার বাড়িও তৈরি করে ফেলে সে। তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পারে, করোনার প্রথম লকডাউন চলাকালীন ডার্ক ওয়েবের বিষয়ে জানতে পারে অভিষেক। তার পরেই আস্তে আস্তে সাইবার অপরাধে হাত পাকিয়ে ফেলে সে।
ঘটনায় ৬ জন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার ঘটনায় ভুয়ো নথিতে তোলা প্রায় ৯ হাজার সিম কার্ড, ১০ হাজারের বেশি ই-ওয়ালেট ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করেছিল পুলিশ। বৃহস্পতিবার এই ঘটনায় বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ আরও তিনজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের নাম মানস সাহানা, কৃপাসিন্ধু সাহানা ও দীপক গুঁই। মানস ও কৃপাসিন্ধুর বাড়ি বেলিয়াড়ি গ্রামে। আর দীপকের বাড়ি জয়পুরে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মানস ও কৃপাসিন্ধু মোবাইল সিম কার্ড পরিষেবা সংস্থার ডিলার। অভিযুক্তরা অভিষেককে সিমকার্ড সরবরাহ করত বলে অভিযোগ। অন্য দিকে, দীপক একটি ই-ওয়ালেট সংস্থার মার্চেন্ট হিসেবে কাজ করত বলে জানতে পেরেছে পুলিশ।
ধৃতদের আদালতের মাধ্যমে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে অভিযুক্তদের জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে তদন্তকারীদের হাতে।পুলিশের মতে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ঘরে বসেই ডার্ক ওয়েবের মাধ্যমে সাইবার অপরাধের জগতে হাত পাকিয়েছিল মূল অভিযুক্ত অভিষেক মণ্ডল।
বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার ধীমান সরকার বলেন, ‘ এই ঘটনায় আর কেউ যুক্ত আছে কি না, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। মোবাইলের বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে কোন কোন প্রতারণা চক্রের সঙ্গে লেনদেন চালাত অভিষেক, তা জানতে উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনগুলোর ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। ফরেনসিক পরীক্ষার ফল জানা গেলে, বহু তথ্য সামনে আসবে।’
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, লকডাউনের মধ্যেই ঘরে বসে সাইবার প্রতারণার চক্র গড়ে তুলেছিল অভিযুক্ত। কৌশলে সাইবার প্রতারকদের ই ওয়ালেট অ্যাকাউন্ট বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেছে অভিযুক্ত। প্রথমে ভুয়ো নথি দিয়ে সিমকার্ড অ্যাক্টিভেট করত সে। তারপর এক এক করে ই-ওয়ালেট অ্যাকাউন্ট তৈরি করে প্রতারকদের মোটা অঙ্কের টাকায় তা বিক্রি করত অভিযুক্ত।
শুধু তাই নয়, ভুয়ো নথি সংগ্রহ থেকে শুরু করে কম্পিউটারের সাহায্যে ভুয়ো নথিপত্র তৈরি করা পর্যন্ত কাজের জন্য নিজের ভাই-সহ বহু লোকজনকে দলে টানে সে। এমনকী, সিমকার্ড অ্যাক্টিভেট করার জন্য বিভিন্ন বেসরকারি মোবাইল পরিষেবা সংস্থার ডিলারদের সঙ্গেও নিবিড় যোগাযোগ তৈরি করেছিল অভিযুক্ত। পুলিশের হাতে যাতে ধরা না-পড়ে, সেজন্য ভার্চুয়াল অর্থ নগদে পরিণত করত অভিষেক।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, লকডাউনের মধ্যেই ঘরে বসে সাইবার প্রতারণার চক্র গড়ে তুলেছিল অভিযুক্ত। কৌশলে সাইবার প্রতারকদের ই ওয়ালেট অ্যাকাউন্ট বিক্রি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেছে অভিযুক্ত। সেই টাকায় সম্প্রতি গ্রামে একটি চার কামরার বাড়িও তৈরি করে ফেলে সে।তদন্তে পুলিশ আরও জানতে পারে, করোনার প্রথম লকডাউন চলাকালীন ডার্ক ওয়েবের বিষয়ে জানতে পারে অভিষেক। তার পরেই আস্তে আস্তে সাইবার অপরাধে হাত পাকিয়ে ফেলে সে।
প্রথমে ভুয়ো নথি দিয়ে সিমকার্ড অ্যাক্টিভেট করত সে। তারপর এক এক করে ই-ওয়ালেট অ্যাকাউন্ট তৈরি করে প্রতারকদের মোটা অঙ্কের টাকায় তা বিক্রি করত অভিযুক্ত। শুধু তাই নয়, ভুয়ো নথি সংগ্রহ থেকে শুরু করে কম্পিউটারের সাহায্যে ভুয়ো নথিপত্র তৈরি করা পর্যন্ত কাজের জন্য নিজের ভাই-সহ বহু লোকজনকে দলে টানে সে। এমনকী, সিমকার্ড অ্যাক্টিভেট করার জন্য বিভিন্ন বেসরকারি মোবাইল পরিষেবা সংস্থার ডিলারদের সঙ্গেও নিবিড় যোগাযোগ তৈরি করেছিল অভিযুক্ত। পুলিশের হাতে যাতে ধরা না-পড়ে, সেজন্য ভার্চুয়াল অর্থ নগদে পরিণত করত অভিষেক।
|#+|