আবার উত্তেজনা দেখা দিল বাগদা বিধানসভায়। সকালে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর গণনাকেন্দ্রে দলবল নিয়ে হাজির হওয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। পুলিশ সেখান থেকে তাঁদের সরিয়ে দেয়। এই রেশ কাটতে না কাটতেই দেখা যায়, বাগদায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর তরতর করে এগিয়ে চলেছেন। আর উনি যত এগিয়েছেন তত পিছিয়ে পড়েছেন বিজেপি প্রার্থী। এই কেন্দ্রটিকে বিজেপির গড় বলা হয়। পরপর দু’বার লোকসভা নির্বাচনে জিতে মন্ত্রী হন শান্তনু ঠাকুর। বিধায়ক হিসাবে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন বিশ্বজিৎ দাস। পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। আর লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে হেরে যান। সেখানে মধুপর্ণা ঠাকুর উপনির্বাচনে প্রার্থী হয়েই ভেলকি দেখাচ্ছেন। তাতেই গণনাকেন্দ্রে উঠল ‘জয় বাংলা’ স্লোগান।
এই ঘটনায় চমকে যান গণনাকেন্দ্রে উপস্থিত বিজেপি প্রার্থী ও এজেন্টরা। কারণ গণনা কেন্দ্রের মধ্যে জয়বাংলা স্লোগান উঠতে পারে সেটা কল্পনাও করতে পারেননি কেউ। বিজেপি প্রার্থী ও এজেন্টদের উত্যক্ত করার জন্যই এই স্লোগান তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ। বিজেপির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ তোলা হল তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ বিজেপি প্রার্থী বিনয় বিশ্বাসের। এখন ১২ হাজারের বেশি ভোটে এগিয়ে আছেন মধুপর্ণা ঠাকুর।
আরও পড়ুন: খুনে অভিযুক্ত যুবক পুলিশ ভ্যানে চুমুক দেয় ‘বিয়ার ক্যানে’, ভাইরাল ভিডিয়োয় শোরগোল
চার বিধানসভা কেন্দ্রেই এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর উপনির্বাচনেও জয়ের ধারা অব্যাহত থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে গণনাকেন্দ্রে জয় বাংলা স্লোগান এই প্রথম উঠল। আর তা নিয়ে বিজেপি প্রার্থী বিনয়বাবুর অভিযোগ, ‘নির্বাচনের দিন আমাকে নানা জায়গায় ঘিরে ধরে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে উত্যক্ত করার চেষ্টা করেছিল তৃণমূল কংগ্রেসের লোকজন। আমার গাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়েছিল। এবার আজ গণনাকেন্দ্রের মধ্যেও একই পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। ওরা চাইছে আমরা রেগে গিয়ে গণনাকেন্দ্র ছেড়ে চলে যাই। তাতে ওদের কারচুপি করতে সুবিধে হবে।’
কারচুপি যে নির্বাচনে হয়নি সেটা জানিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। এবার গণনায় কারচুপি হয়েছে কিনা সেটাও জানাবে নির্বাচন কমিশন। তবে যদি ট্রেন্ড এভাবেই চলতে থাকে তাহলে গণনা শেষে চার শূন্য হতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। চারটি বিধানসভা আসনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করলে বিজেপিকে শূন্য নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর বলেন, ‘কর্মীরা হয়তো উৎসাহিত হয়ে স্লোগান দিয়ে ফেলেছেন। তবে পরাজয় নিশ্চিত বুঝে সেটাকে ইস্যু করে উনি নজর ঘোরাতে চাইছেন।’