আজ, শনিবার সকাল থেকেই চার বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর গণনা রাউন্ড যত এগোচ্ছে ততই পিছিয়ে পড়ছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। এই আবহে বিজেপি এখন মাঠ ছেড়ে পালাতে চলেছে। লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট আসন জিতে নেন বিজেপির জগন্নাথ সরকার। তাঁর বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন মুকুটমণি অধিকারী। তৃণমূল কংগ্রেস এখানে জেতেনি। তবে দেড় মাসের মাথায় খেলা ঘুরে গেল। রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা আসনটি উপনির্বাচনে জিতে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। জয়ী হলেন মানুষের নয়নের মণি মুকুটমণি অধিকারী।
সদ্য লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ধরাশায়ী হয়েছে গেরুয়া শিবির। তার উপর চার উপনির্বাচনেও যদি পরাজয়ের মুখ দেখতে হয় তাহলে বঙ্গ–বিজেপির অস্তিত্ব সংকট দেখা দেবে। এবার মুকুটমণির জয়ের খবর প্রকাশ্যে আসতেই গণনাকেন্দ্রের বাইরে বিজয় উল্লাস শুরু হয়েছে। দলের পতাকা হাতে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা স্লোগান দিতে শুরু করেছেন। গণনার শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মুকুটমণি। তাই নিয়ে টানটান উত্তেজনা ছিল গণনাকেন্দ্রে। তাঁকে ঘিরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান ওঠে বলে অভিযোগ তুলে গণনাকেন্দ্র ছেড়ে বেরিয়ে যান বিজেপি প্রার্থী মনোজকুমার বিশ্বাস। পুলিশই নিরাপত্তা দিয়ে তাঁকে বের করে দেয়।
আরও পড়ুন: মতুয়া ভোটও গেল তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে, বাগদায় বড় জয় পেলেন মধুপর্ণা ঠাকুর
চারটি বিধানসভা আসনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করলে বিজেপিকে শূন্য নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। ইতিমধ্যেই ৫০ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে জিতে গিয়েছেন কৃষ্ণ কল্যাণী। বাগদা আসন নিজেদের দখলে নেওয়াটাই চ্যালেঞ্জ ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। শনিবারের বারবেলায় বিজেপি প্রার্থী বিনয়কুমার বিশ্বাসকে হারিয়ে জয়ী হন মধুপর্ণা ঠাকুর। আর রানাঘাট দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারীর জয়ের ব্যবধান ৩৭,০০৬। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিজেপির মনোজ কুমার বিশ্বাস।
তাছাড়া লোকসভা নির্বাচনে জয়ের পর সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেছিলেন, তৃণমূল কংগ্রেসকে বিধানসভার উপনির্বাচনেও হারাব। কিন্তু সেটা হল না। এখানে ঘাসফুল ফোটালেন মুকুটমণি অধিকারী। মুকুটমণি জয়ের পর বলেন, ‘বিজেপি মানুষের খবর রাখে না। আমোদ–প্রমোদে ব্যস্ত। পিছিয়ে পড়া শ্রেণির মানুষের কথা বিজেপি ভাবে না। মানুষ সেটা বুঝে গিয়েছে। তাই আজকের এই ফল হয়েছে। মানুষের এই ভাবনারই প্রতিফলন ঘটল আজকের ফলাফলে। আমি খুব খুশি। মানুষের আস্থাকে সম্মান জানাতে আমি তৈরি আছি।’