লোকসভা নির্বাচনে মিলেছে সাফল্য। তার মধ্যেই দুটি বিধানসভা হয়। তাতেও সাফল্য আসে তৃণমূল কংগ্রেসের। তারপর চার বিধানসভার উপনির্বাচনে গোহারা হয় বিজেপি। এবার হতে চলেছে ৬টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন। আর এইসব বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হতে পারে দুর্গাপুজোর আগেই। অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসে বলে সূত্রের খবর। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশন কিছু না বললেও জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই রাজ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে তা নিয়ে আলোচনাও হয়েছে। সেখান থেকে খবর নিয়েছে নয়াদিল্লি। সুতরাং উৎসবের মরশুম শুরু হওয়ার আগে ভোট শেষ করতে চায় নির্বাচন কমিশন বলে সূত্রের খবর।
আগামী ২০ অগস্ট অমরনাথ যাত্রা শেষ হচ্ছে বলে এমনটাই খবর মিলেছে। তার পরই জম্মু ও কাশ্মীরে নির্বাচন ঘোষণা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। তার উপর ভোট রয়েছে হরিয়ানা রাজ্যেও। এই নির্বাচনী আবহে কাশ্মীর, হরিয়ানার সঙ্গে বাংলাতেও উপনির্বাচন করিয়ে নিতে চায় নির্বাচন কমিশন। বাংলার যেসব কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে সেগুলি হল, উত্তর ২৪ পরগনার নৈহাটি এবং হাড়োয়া, পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর, বাঁকুড়ার তালডাংরা, আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট এবং কোচবিহারের সিতাই। এই বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে বিধায়ক শূন্য হয়েছে। তাই উপনির্বাচনের প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ‘সকলকে নিয়েই কাজ করতে হবে’, ঝাড়গ্রামে পা রেখেই ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনের বার্তা মমতার
এখন বাংলার যা পরিস্থিতি তাতে বেশিরভাগ আসনেই সাফল্য পাবে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ শহর থেকে জেলায় যে উন্নয়ন ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে তাতে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত রায় বারবার মিলেছে। তার উপর রাজ্যের প্রত্যেকটি উপনির্বাচনে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। লোকসভা নির্বাচনের আসন সংখ্যা কমে গিয়েছে। তার মধ্যে যে ৬ কেন্দ্রে উপনির্বাচন হতে চলেছে তাতে আলিপুরদুয়ারের মাদারিহাট রয়েছে বিজেপির দখলে। আর পাঁচটি কেন্দ্র রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। সুতরাং ওই একটি আসনে জেতার জন্য ঝাঁপাবে তৃণমূল কংগ্রেস। আর জিতলে উত্তরবঙ্গে আরও শক্তি বাড়বে তৃণমূল কংগ্রেসের।
বিজেপি নিজেদের আসন ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করবে। তবে বাকি পাঁচটি আসনে পদ্ম ফোটাতে পারবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই। তবে জম্মু ও কাশ্মীরের নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকদের প্রশিক্ষণের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে হাজির থাকতে বলা হয়েছে রাজ্যের নির্বাচনী আধিকারিক আরিজ আফতাবকে। সুতরাং বাংলার উপনির্বাচন যে দুর্গাপুজোর আগেই হবে সেটাই ধরে নেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার পর সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে ভোট করিয়ে নেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।