আজ, শনিবার সকাল থেকেই চার বিধানসভা কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর গণনা রাউন্ড যত এগোচ্ছে ততই পিছিয়ে পড়ছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। এই আবহে বিজেপি এখন মাঠ ছেড়ে পালাতে চলেছে। লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ থেকে কৃষ্ণ কল্যাণীকেই প্রার্থী করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। আর তিনি হেরে যান বিজেপির কার্তিক পালের কাছে। তবে রায়গঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে আবার তাঁর উপরই ভরসা রেখেছিল শাসকদল। এবার তিনি জিতলেন। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। তবে তখন তাঁর দল ছিল বিজেপি। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক। আজ কৃষ্ণ কল্যাণীর জয় দিয়েই উপনির্বাচনের খাতা খুলল তৃণমূল কংগ্রেস।
সদ্য লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ধরাশায়ী হয়েছে গেরুয়া শিবির। তার উপর চার উপনির্বাচনেও যদি পরাজয়ের মুখ দেখতে হয় তাহলে বঙ্গ–বিজেপির অস্তিত্ব সংকট দেখা দেবে। এবার রায়গঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী ৪৯ হাজার ৫৩৬ ভোটে জয়ী হয়েছেন। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ আসনে ৪৭ হাজার ভোটে পিছিয়ে ছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এই খবর সামনে আসতেই গণনা কেন্দ্রের বাইরে বিজয় উল্লাস শুরু হয়েছে। দলের পতাকা হাতে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা স্লোগান দিতে শুরু করেছেন।
তৃণমূল কংগ্রেস প্রথমবার জিতল রায়গঞ্জ। এখানে বিজেপির টিকিটে জিতেছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী একুশের নির্বাচনে। যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপির রথ থামিয়ে দিয়েছিল। সেই মরশুমে জিতেছিলেন তিনি। তারপর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন কৃষ্ণ কল্যাণী। আর লোকসভা নির্বাচনে পরাজিত হন। তবে এবার রায়গঞ্জ প্রথমবার জিতল তৃণমূল কংগ্রেস। কৃষ্ণ কল্যাণীকে সামনে রেখেই জয় আসে। আগে এটা কংগ্রেস জিতত। যখন প্রিয়রঞ্জন দাসমুন্সি জীবিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ‘দলের প্রচার ও কর্মপদ্ধতিতে সাড়া দিয়েছেন মানুষ’, সুপ্তি পাণ্ডের জয় নিয়ে পোস্ট কুণালের
চারটি বিধানসভা আসনে তৃণমূল কংগ্রেস জয়লাভ করলে বিজেপিকে শূন্য নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হবে। ইতিমধ্যেই ৫০ হাজারের বেশি ভোট পেয়ে জিতে গিয়েছেন কৃষ্ণ কল্যাণী। সকাল থেকেই রায়গঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনের ভোট গননা শুরু হয় কড়া পুলিশি নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে। রায়গঞ্জের পলেটেকনিক্যাল কলেজে ছিল টানটান স্নায়ুর লড়াই। জয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা বিজয় উল্লাস শুরু করে দিয়েছে। ১৯৯৮ সালের পর থেকে রায়গঞ্জ তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে আসেনি। এবারের উপনির্বাচনে প্রথম তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে এল রায়গঞ্জ। আর উত্তরবঙ্গে কোচবিহারের পর ঘাসফুল ফুটল রায়গঞ্জে।