পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নবদ্বীপে মতুয়াদের সভায় যোগদান করে ফের CAA নিয়ে আশ্বাস দিয়ে এলেন শুভেন্দু অধিকারী। জানালেন, CAA কার্যকরের জন্য আর বেশি অপেক্ষা করতে হবে না। সঙ্গে তাঁর প্রশ্ন, সবাই নাগরিক হলে পুলিশ ভেরিফিকেশনের সময় ৭১ সালের আগের দলিল চাওয়া হয় কেন?
এদিন শুভেন্দুবাবু বলেন, ‘CAA আইন কার্যকরের প্রক্রিয়া কবে শুরু হবে আমরা তার অপেক্ষায় আছি। আমরা আশাবাদী, আর বেশি দিন আমাদের অপেক্ষা করতে হবে না। তাই আজ আমরা আওয়াজ তুলব, অবিলম্বে পশ্চিমবঙ্গে CAA লাগু করতে হবে। আমরা দু’চোখ দিয়ে তার অপেক্ষায় আছি’।
মতুয়াদের শুভেন্দুবাবুর আশ্বাস, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২ মাস আগে বলেছেন, CAA আইন বানিয়েছি কার্যকর করার জন্যই। আর এই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী পরিবারবাদ ও তোষণ ছাড়া কিছু বোঝেন না। ওনার এই ২টোই এজেন্ডা। এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন CAA-র আবার দরকার কী? আমরা তো সকলেই নাগরিক। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আপনি তো ১২ বছর পুলিশমন্ত্রী। আপনি তো চাকরি দিতে পারেননি। বরং আপনার দলের লোকেরা চাকরি বিক্রি করেছে। পেটের টানে আমাদের ছেলে মেয়েদের যখন বাইরের দেশে যেতে হয়। বাংলাদেশে আত্মীয় স্বজনের কাছে যেতে হয়। আপনার DIB অফিস কেন ৭১ সালের আগের দলিল চায়? চাকরির ভেরিফিকেশনের জন্য কেন বলা হয় ৭১-এর আগের দলিল আনো? আমাকে তো বলে না। শান্তনু ঠাকুরের পরিবারকে বলা হয়। এই যে একটা পাঁচিল তুলে রেখেছে এর বিরুদ্ধেই কেপি ঠাকুরের লড়াই। এই লড়াই সফল হয়েছে মোদীজি, অমিত শাহজির কল্যাণে। আর এক ব্যবস্থাপক সুব্রত ঠাকুর, শান্তনু ঠাকুর’।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে মতুয়াদের তীর্থক্ষেত্র ঠাকুরনগরে এসে CAA আইন প্রণয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পর লোকসভা ভোটে মতুয়া অধ্যুষিত এলাকায় ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় ফেরার ১ বছরের মধ্যে সংসদে CAA পাশ করায় মোদী সরকার। কিন্তু তার পর থেকে আইন কার্যকর হওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছেন মতুয়াসহ বাংলাদেশ থেকে আসা হিন্দু ও বৌদ্ধ উদ্বাস্তুরা।