বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > ‘লকডাউন জারি করে মেলা কীভাবে?’ জঙ্গলমহল উৎসব নিয়ে জেলাশাসকের জবাব চাইল হাই কোর্ট

‘লকডাউন জারি করে মেলা কীভাবে?’ জঙ্গলমহল উৎসব নিয়ে জেলাশাসকের জবাব চাইল হাই কোর্ট

জঙ্গলমহল উৎসব নিয়ে জেলাশাসকের জবাব চাইল হাই কোর্ট (ছবি সৌজন্যে টুইটার)

মামলাকারীর আইনজীবীর বক্তব্য, ঝাড়গ্রাম জেলায় ১০, ১২ ও ১৪ জানুয়ারি লকডাউন জারি করা হয়৷ এই আবহে ১৭ জানুয়ারি থেকে মেলার অনুমতি দেওয়া হয় কীভাবে?

শর্তসাপেক্ষে গঙ্গাসাগর মেলার অনুমতি দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। তবে করোনা আবহে জঙ্গলমহল উৎসব বন্ধের দাবিতেও দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলা। প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয় শুক্রবার। আর এরপরই উচ্চ আদালতের তরফে জানানো হয়, মেলা বন্ধ হবে কিনা, তা জানাতে হবে ঝাড়গ্রামের জেলাশাসককে। জেলার করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই সেই সংক্রান্ত জবাব উচ্চ আদালতে জানাতে বলা হয়েছে জেলাশাসককে।

করোনা পরিস্থিতিতে মেলা কীভাবে করতে চাইছে রাজ্য, সেই বিষয়ে রাজ্যের আইনজীবীর কাছে রিপোর্ট চেয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। রাজ্যের তরফে জানানো হয়, আগে জঙ্গলমহল উৎসব একটা জায়গায় করা হতো। কিন্তু এবছর পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান এবং বীরভূমে আলাদা করে ছোট ছোট মেলা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের বক্তব্য শুনে ঝাড়গ্রাম জেলাশাসককে প্রধান বিচারপতির স্পষ্ট নির্দেশ, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পরিস্থিতি বিবেচনা করে জানাতে হবে যে মেলা অনুষ্ঠিত করা সম্ভব কিনা।

করোনা পরিস্থিতিতে জঙ্গলমহল উৎসব বন্ধ রাখার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন ঝাড়গ্রামের বাসিন্দা প্রতীক মৈত্র৷ মামলাকারীর আইনজীবীর বক্তব্য, সংক্রমণের উপর রাশ টানতে ঝাড়গ্রাম জেলায় ১০, ১২ ও ১৪ জানুয়ারি লকডাউন জারি করা হয়৷ এই আবহে ১৭ জানুয়ারি থেকে মেলার অনুমতি দেওয়া হয় কীভাবে? পশ্চিমঞ্চাল উন্নয়ন পরিষদ, জেলাশাসকের তত্ত্বাবধানে এই মেলা হয়। মূলত আদিবাসী জনজাতি মানুষের শিল্প, সংস্কৃতি ও তাঁদের হাতের তৈরি বিভিন্ন জিনিসিপত্রের বেচাকেনার সুবিধার কথা মাথায় রেখেই মেলা আয়োজিত হয়। চলতি বছরে ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি ঝাড়গ্রাম জেলায় এই মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা।

বন্ধ করুন