শুভেন্দু অধিকারীর ক্লাবের দুর্গা পুজো অনুমোদন বাতিল করা হয় কয়েকদিন আগে। দীর্ঘ ২২ বছর ধরে চলা এই পুজো আয়োজিত হয়ে আসছিল কাঁথির সেচ দফতরের জায়গায়। তবে এবছর প্রথমবার প্রথমে পুজোর ছাড়পত্র মিলল না বলে অভিযোগ চৌরঙ্গী রিক্রিয়েশন ক্লাবের। এরপরই হাই কোর্টে দ্বারস্থ হয়ে ক্লাবের তরফে অভিযোগ করা হয়, শুভেন্দু ক্লাবের সভাপতি বলেই অনুমোদন দেওয়া হয়নি পুজোর। আর এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে নজিরবিহীন ভাবে কাঁথি শহরের ওই এলাকা পরিদর্শনে যান কলকাতা হাই কোর্টের নিযুক্ত প্রতিনিধি।
ক্লাবের অভিযোগ, প্রাথমিক ভাবে পুজোর অনুমোদন দেওয়া হলেও পরে তা বাতিল করা হয়। অনুমোদন বাতিলের কারণ খতিয়ে দেখতেই পুজোর স্থান দেখে গেলেন হাই কোর্টের প্রতিনিধি। এই বিষয়ে বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ কুমার চক্রবর্তীর বক্তব্য, 'পুরোপুরি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই পুজোর অনুমোদন বাতিল করে দেওয়া হয়। এবার হাই কোর্টের পর্যবেক্ষণে সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে।'
এদিকে এই বিষয়ে চৌরঙ্গী রিক্রিয়েশন ক্লাবের তরফে দাবি করা হয়, গত ১৬ অগস্ট সব নিয়ম মেনে সেচ দফতরকে চিঠি দিয়ে পুজোর জন্য অনুমতি চেয়েছিল ক্লাব। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ১৯ অগস্ট পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু সেদিনই সেচ দফতরের এক আধিকারিক অনুমতিপত্রটি চেয়ে নেন কয়েকটি বিষয় যুক্ত করবেন বলে। অভিযোগ, এর পরেই ক্লাবকে সেচ দফতরের তরফে জানানো হয়, শুভেন্দুকে ক্লাবের সভাপতি পদ থেকে না সরানো হলে পুজোর অনুমতি মিলবে না। এর প্রেক্ষিতেই ক্লাবের পক্ষ থেকে মামলা করা হয় হাই কোর্টে। মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চে। এরপরই বিষয়টি খতিয়ে দেখতে স্পেশাল অফিসার নিয়োগ করে আদালত।
এদিকে এই বিষয়ে রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী অখিল গিরি দাবি করেন, 'পুজোটা সরকারি জায়গায় হয়ে থাকে। সরকার কাকে জায়গা ব্যবহার করতে দেবে বা কাকে দেবে না, সেটা বিচার করবে সংশ্লিষ্ট দফতর। এর মধ্যে রাজনীতির কোনও কিছু নেই।'