দীর্ঘ ৬ বছর ধরে বিশ্বভারতীর দরজা বন্ধ ছিল পর্যটকদের জন্য়। অবশেষে পর্যটকদের জন্য় খুলে দেওয়া হল বিশ্বভারতী। এবার থেকে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবেন পর্যটকরা। সবার জন্য খুলছে দরজা। তাঁরা বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসের ভেতরে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে দেখতে পারবেন।
সম্প্রতি বিশ্বভারতীয় উপাচার্য হিসাবে এসেছেন প্রবীরকুমার ঘোষ। তারপরই এই সিদ্ধান্ত। সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছিল। একটা সময় পর্যটকদের জন্য় বন্ধ হয়ে যায় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের দরজা। এদিকে করোনা চলে গিয়েছে। কিন্তু এতদিন ধরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারতেন না পর্যটকরা। অবশেষে সেই নিয়মের বদল হচ্ছে।
তবে করোনা পরিস্থিতির আগে বিশ্বভারতীয় ক্যাম্পাসে প্রবেশের ক্ষেত্রে কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিল না। পর্যটকরা সেই ক্যাম্পাস দেখার জন্য়ও যেতেন। বিদ্যুৎ চক্রবর্তী যখন উপাচার্য ছিলেন তখন তিনিও বিশ্বভারতীর দরজা পর্যটকদের জন্য় খুলে দেননি। এতদিন ধরে কেবলমাত্র বিশ্বভারতীর মিউজিয়ামে যেতে পারতেন পর্যটকরা। ক্যাম্পাসে তারা যেতে পারতেন না। তৎকালীন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী কার্যত এই ক্যাম্পাসে পর্যটকদের প্রবেশের ব্যবস্থায় কোনও উদ্যোগ নেননি বলেই অভিযোগ। তবে এবার নতুন উপাচার্য আসার পরেই ফের মুক্ত বাতাস বিশ্বভারতীতে।
সূত্রের খবর, বিশ্বভারতীর অধ্য়াপকদের সঙ্গেও কথা হয়েছে উপাচার্যের। তারপরই পর্যটকদের জন্য় বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাস খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত। এতদিন রবীন্দ্রভবন ছাড়া পর্যটকরা বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাসে যেতে পারতেন না।
এদিকে বিশ্বভারতীর ক্যাম্পাস দেখার জন্যই প্রচুর পর্যটক যেতেন সেখানে। কিন্তু সে
আম্রকুঞ্জ, কলাভবনের ভেতরে যেতে পারবেন পর্যটকরা।
নতুন উপাচার্য প্রবীর কুমার ঘোষ জানিয়েছেন, এটা যখন হেরিটেজ এলাকা এটা বজায় রাখতে হবে। পর্যটনের সঙ্গে এটার সংযোগ তৈরি করতে হবে। এটা ওপেন ক্যাম্পাস। এটা কোনও সীমানা নেই। নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয় রয়েছে। সেটা দেখা হবে। রাজ্য়ের সঙ্গে কথা বলছি। স্থানীয় প্রশাসন অত্য়ন্ত গুরুত্বপূর্ণ আমরা কথা বলছি।
কার্যত বিশ্বভারতীতে আর সেই দমবন্ধ করা পরিস্থিতি থাকছে না। ফের মুক্ত প্রাঙ্গন বিশ্বভারতীতে। সেখানে পর্যটকরা আসবেন। ঘুরতে পারবেন। তবে বিশ্বভারতীর শান্তি শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। কোনওভাবে বিশ্বভারতীর নিজস্ব যে পরিবেশ রয়েছে সেটা নষ্ট করা যাবে না। নতুন উপাচার্য জানিয়ে দিয়েছেন। এটা ওপেন ক্যাম্পাস। এখানে কোনও সীমানা নেই। সেক্ষেত্রে সেই দমবন্ধ করা পরিস্থিতি আর নয় বিশ্বভারতীতে। সেই মুক্ত অঙ্গন। অবশেষে ভাঙল অচলায়তন।