রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ক্ষেত্রেই এ এক মহা ধাঁধা। বয়স বাড়ে অথচ যুবর তকমা ঘোচে না। এমনকী একাধিক রাজনৈতিক দলে যুব সংগঠনে থাকার বয়সসীমা নির্ধারন করা থাকলেও বাস্তবে অনেকেই বয়স পেরিয়ে যাওয়ার পরেও সেই যুব সংগঠনেই থেকে যান। এনিয়ে রাজনৈতিক আঙিনায় রসিকতা কিছু কম হয় না। তবে এবার বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে ঘিরে যখন নানা কথা উঠছে তখনই সেই বয়সের প্রশ্নটাই আরও একবার উসকে দিলেন তিনি। ইতিমধ্যেই যুব মোর্চার রাজ্য সভাপতির পদ ছাড়তে চেয়ে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় সওয়ালও করেছিলেন। আবার কিছু সময় গড়াতে তিনি সেই কথা প্রত্যাহারও করে নেন।
এনিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। তবে এবার বিজেপির তরফেই তাঁকে যুব মোর্চার পদ থেকে সরানোর তোরজোড় শুরু হয়েছে। সেই আবহের মধ্যে ৪১ বছর বয়সী বিজেপি সাংসদের দাবি, ‘বয়স পেরিয়ে গেলে এমনিতেই যুব মোর্চার পদ ছেড়ে দিতে হয়। এটা নতুন কিছু নয়। আমি কি সারাজীবন যুব মোর্চা করব?’ রবিবার বিষ্ণুপুর শহরে একটি বেসরকারি লজে সংগঠনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে তিনি একথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষকে নিয়ে তাঁর অভিমান, ক্ষোভের প্রসঙ্গও পাশ কাটাতে চাননি তিনি। তিনি বলেন, ‘কোনও রাগ নেই। তবে রাজনীতিতে রাগ-অভিমান চলে। আবার রাজনীতি, কূটনীতিও চলে।’
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বার বার নিজের অবস্থান বদল করছেন বিজেপি সাংসদ। এদিকে ইতিমধ্যেই তাঁকে তৃণমূলে আসার জন্য আহ্বান করেছেন খোদ তাঁর স্ত্রী সুজাতা মণ্ডল। কিন্তু সেই আহ্বানে তিনি সাড়া দেবেন কিনা তা নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।