ক্যানিংয়ে তিন তৃণমূল কংগ্রেস নেতার খুনের ঘটনায় এই প্রথম গ্রেফতার হল। কুলতলি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে আফতাবউদ্দিন শেখ। সে ক্যানিংয়েরই বাসিন্দা। এই ধৃত ব্যক্তিই রফিকুল সর্দারের দলবলের কাছে স্বপন মাজিদের লোকেশন পৌঁছে দিচ্ছিল বলে খবর। ক্যানিংয়ে গুলি করে গলার নলি কেটে তিনজন তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে খুন করা হয় বৃহস্পতিবার। সেই ঘটনায় প্রথম গ্রেফতারের নাম আফতাবউদ্দিন শেখ। এফআইআরে নাম থাকা বশিরউদ্দিন শেখের দাদা আফতাবউদ্দিন।
ঠিক কী ছক হয়েছিল ক্যানিংয়ে? সূত্রের খবর, এদের খুনের পরিকল্পনা আগেই করা হয়। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী, দুষ্কৃতীদের আগে সেখানে পৌঁছে যায় আফতাবউদ্দিন। এই অভিযুক্ত স্বপন মাজিদের মোটরবাইকের সঙ্গে সঙ্গেই যাচ্ছিল এবং আততায়ীদের লোকশন জানাচ্ছিল। সেই লোকশনের উপর ভিত্তি করেই খুন করা হয় তিনজনকে। যে ৬ জনের নামে এফআইআর হয়েছিল সেখানে ধৃতের নাম ছিল না। পরে তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে আসে নামটি।
কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের ঘটনার দিন তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য স্বপন মাজির গতিবিধি সংক্রান্ত খবর খুনিদের কাছে পৌঁছে দিয়েছিল আফতাবউদ্দিন। খুনের তিনদিন আগে ক্যানিংয়ের ধর্মতলার মাঠে বসে গোটা ব্যাপারটা পরিকল্পনা করা হয়। সেই মতো আগে থেকে মাঠের পাশে বসে অপেক্ষা করছিল ওই আততায়ীরা। ওই রাস্তা দিয়েই স্বপনরা মিটিংয়ে যাচ্ছেন সেই খবর পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল দুষ্কৃতীদের কাছে। একটি মোটরবাইকে করে আসে চারজন। এদের লোকেশন জানানোর জন্য নোটা টাকা দেওয়া হয়েছিল আফতাবউদ্দিনকে।
তারপর ঠিক কী ঘটল? জানা গিয়েছে, অপারেশনের সময় মোটরবাইক নিয়ে তিন তৃণমূল কংগ্রেস নেতাকে অনুসরণ করে আততায়ীদের কাছে তথ্য পৌঁছে দিচ্ছিল আফতাব। গুলি চলার পরেই সে এলাকা ছাড়ে। যে রাস্তা দিয়ে মোটরবাইকে করে যাচ্ছিলেন স্বপন মাজিরা, তার উল্টোদিক থেকে একটি মোটরবাইকে করে আসে আততায়ীরা। রাস্তা আটকে প্রথমে স্বপনকে গুলি করে। তারপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কেটে দেয়। আর বাকি দু’জনকে খুন করে পালায় অভিযুক্তরা।