আজ, স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি হচ্ছে দেশজুড়ে। তার মধ্যেই নতুন স্টেশন পেল ক্যানিংবাসী। ১৫ অগস্ট উদ্বোধন হল ক্যানিংয়ের নতুন স্টেশন। এই স্টেশনের নাম মাতলা হল্ট। মাতলা নদী এখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে বলেই ক্যানিংয়ের নতুন স্টেশনের নামকরণ মাতলা হল্ট করা হয়েছে। এই স্টেশনকে আগে চাঁদখালি হল্ট বলেই স্থানীয় বাসিন্দারা উচ্চারণ করতেন। তারই আজ নাম বদলে হল মাতলা হল্ট। রেলের পক্ষ থেকে এমনই সরকারি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে ক্যানিংয়ে? স্থানীয় সূত্রে খবর, ক্যানিং দিয়ে বয়ে গিয়েছে মাতলা নদী। এটি খুব ভয়ঙ্কর নদী বলেই কথিত আছে। কারণ মাতলার রূপ এতটাই ভয়ঙ্কর যে, এই নদী স্থান পেয়েছে ইতিহাসের পাতাতেও। ব্রিটিশ আমলে এই মাতলা নদী দিয়েই গড়ে উঠেছিল বাণিজ্য নগরী ক্যানিং। রাইস মিল, বন্দর মাতলা নদীকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছিল। এখন অবশ্য হারিয়ে গিয়েছে মাতলার গভীরতা। তবে ঐতিহাসিক মাতলা নদীকেই এবার রেলস্টেশনের নামকরণ করল রেল কর্তৃপক্ষ। শিয়ালদা দক্ষিণ শাখার শেষ স্টেশন ক্যানিং। আর তার আগের স্টেশন তালদি। মাঝখানে নতুন স্টেশনের নামকরণ করা হল মাতলা হল্ট। ক্যানিং থেকে ৪ কিলোমিটার এবং তালদি থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে নতুন স্টেশন।
আর কী জানা যাচ্ছে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন এখানে নতুন স্টেশনের দাবি তোলেন স্থানীয় মানুষজন। সেই দাবি মেনে নিয়ে তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রকল্পের শিলান্যাস করেছিলেন। প্রায় এক যুগ কেটে যাওয়ার পর রেলের পক্ষ থেকে নতুন নাম করা হল। এখন থেকে মাতলা হল্ট নামে স্টেশনটি মানুষের কাছে উঠে আসবে।
ঠিক কী বলছেন বিধায়ক? এই নতুন স্টেশনের বিষয়ে ক্যানিংয়ের বিধায়ক পরেশরাম দাস বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকার যখন রাজ্যে নতুন কোনও স্টেশনের কাজ করে, তখন রাজ্যের কাছ থেকে কিছু নামের প্রস্তাব চাওয়া হয়। তখন মাতলা নামটি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মাতলা নদীর নাম যেহেতু ঐতিহাসিক তাই স্টেশনের নাম মাতলা হল্ট করা হয়েছে।’