মাধ্যমিকের ফল বেরোতেই স্কুলে স্কুলে শুরু হয়েছে একাদশের ভর্তিপ্রক্রিয়া। আর তাতেই ঝালদা উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে বেঁধেছে বিপত্তি। সেখানে ভর্তি হতে গেলে ছাত্রীর অভিভাবকদের সই করতে হচ্ছে একটি মুচলেকায়। তাতে লেখা, স্কুলে শিক্ষিকা কম থাকায় রোজ ক্লাস হবে না।
এবার একাদশে স্কুলগুলিকে ৪০০ জন পর্যন্ত পড়ুয়া ভর্তির অনুমতি দিয়েছে রাজ্য সরকার। তবে বহু স্কুলেই অত ছাত্রছাত্রী ভর্তি নেওয়ার পরিকাঠামো নেই। কিন্তু সরকারি নির্দেশ থাকায় তারা ফেরাতে পারছে না কাউকে। সেজন্য সিদ্ধান্ত হয়েছে মুচলেকায় সই করানোর।
ঝালদা শহরে মেয়েদের একমাত্র উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল ঝালদা উচ্চ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়। মুচলেকায় স্পষ্ট লেখা, স্কুলে পর্যাপ্ত শিক্ষিকা নেই, তাই রোজ ক্লাস করানো সম্ভব নয়। স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি অমর চট্টোপাধ্যায়ের কথায় স্পষ্ট হল পরিকাঠামোর বেহাল দশা। স্কুলে ছাত্রীদের ভর্তি করার জন্য প্রয়োজনীয় ফর্মও নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। সাদা কাগজে ভর্তির আবেদন করতে হচ্ছে ছাত্রীদের। তিনি বলেন, ‘অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ভর্তি করা হচ্ছে। যখন যে ক্লাস হবে সেদিন সেই ছাত্রী হাজির থাকবে। ক্লাস না থাকলে স্কুলে আসার দরকার নেই। স্কুলে শিক্ষিকার সংখ্যা খুব কম। ফলে রোজ ক্লাস করানো সম্ভব নয়।’
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শুক্লা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘লকডাউনের আগে স্কুলে ৩৮ জন শিক্ষিকা ছিলেন। এখন তা কমে হয়েছে ১৩। একাধিক বিষয়ে শিক্ষিকা নেই। একাদশ শ্রেণিতে ১৫০-র বেশি আবেদন জমা পড়েছে। এই কয়েকজন শিক্ষক নিয়ে তাদের প্রতিদিন ক্লাস করানো মুশকিল। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শককে জানিয়েছি। কিন্তু কাজ হয়নি।’