উত্তর দিনাজপুরের দুর্লভপুর পঞ্চায়েতে কিছুদিনের মধ্যেই তৃণমূলের বোর্ড গঠন করার কথা রয়েছে। তার আগেই দুর্লভপুর বাজার এলাকায় বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকারের গাড়ি উল্টে যাওয়াকে কেন্দ্র করে শুরু হলো রাজনৈতিক চাপানউতোর। তৃণমূলের অভিযোগ, এলাকায় অশান্তি তৈরীর চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। অন্যদিকে, বিজেপি এই অভিযোগকে অস্বীকার করেছে।
বুধবার রাতে দুর্লভপুর বাজার এলাকায় রাস্তায় বিজেপি সভাপতির গাড়ি উল্টে যায়। গাড়িতে বিজেপি সভাপতি না থাকলেও তাতে দলের বেশ কয়েকজন কর্মী ছিলেন। সেখানে গাড়ি উল্টে যাওয়ার পর চালক এবং কর্মীরা কোনওভাবে প্রাণে বেঁচে যান।
বিপত্তি ঘটে বৃহস্পতিবার সকালে । বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার এদিন ঘটনাস্থলে এসে ক্রেনের সাহায্যে গাড়ি তোলার চেষ্টা করেন। তাতেই বাধা দেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। তাদের অভিযোগ, গাড়ি উল্টে যাওয়ার পর চালক এবং গাড়ির যাত্রীরা স্থানীয়দের দেখে পালিয়ে যায়। সেক্ষেত্রে তাদের কোনও খারাপ মতলব ছিল বলেই সন্দেহ করছেন তৃণমূল কর্মীরা। তাদের অভিযোগ, এলাকায় অশান্তি তৈরি করার উদ্দেশ্যেই রাতে বিজেপি কর্মীরা এলাকায় এসেছিলেন। তবে দুর্ঘটনার কারণে তাদের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয়রা পুলিশ প্রশাসনের সাহায্যে উল্টে যাওয়া গাড়ি তোলার দাবি জানান। তাদের আশঙ্কা, গাড়িতে হয়তো বিস্ফোরক পদার্থ থাকতে পারে।
যদিও বাসুদেব সরকার তৃণমূলের এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তিনি বলেন, 'চালক আমাকে বাড়িতে রেখে বাড়ি ফিরছিল। সে সময় কোনও কারণে হয়তো দুর্ঘটনা ঘটেছে।তবে আমি গাড়ি তুলতে আসিনি, দেখতে এসেছি।'
উল্লেখ্য, দুর্লভপুর পঞ্চায়েতে গত ভোটে ১৮ আসনের মধ্যে বিজেপি ১০ ও সিপিএম ১ এবং তৃণমূল কংগ্রেস ৭ আসন পেয়েছিল। ফলে বিজেপি বোর্ড গঠন করেছিল। তবে কয়েকদিন আগে বিজেপির ৫ ও সিপিএমের ১ পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেছেন। কয়েকদিনের মধ্যেই তৃণমূলের বোর্ড গঠন করার কথা রয়েছে ওই পঞ্চায়েতে।