আমে কার্বাইড ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এনিয়ে প্রশাসনের তরফে আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের সচেতন করা হয়ে থাকে। তারপরও অনেক অসাধু ব্যবসায়ী আম পাকানোর জন্য কার্বাইড ব্যবহার করে থাকেন। মালদার আমের সুখ্যাতি ছড়িয়ে রয়েছে সারা বিশ্বজুড়ে। এই অবস্থায় আমের গুণমান বজায় রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে চলেছে মালদা জেলা প্রশাসন। আর মাস দুয়েক পর থেকেই আমের মরশুম শুরু হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে আমে কার্বাইডের উপস্থিতি পাওয়া গেলেই বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জেলা প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: জিআই ট্যাগ মালদার আমের, তালিকায় হিমসাগর থেকে লক্ষ্মণভোগ
জানা যাচ্ছে, এবার মালদায় আমের মরশুম শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপের পথে হাঁটছে জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক নিতীন সিংহানিয়া জানিয়েছেন, অসাধু আম ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অপরিপক্ক আম কার্বাইড ব্যবহার করে পাকিয়ে সেগুলি বিক্রি করতে বাজারজাত করেন। এতে আমের গুণমান নষ্ট হয়ে যায়। তাছাড়া, স্বাস্থ্যের পক্ষেও ক্ষতিকারক। তাই এবার কোনও ব্যবসায়ীর বিক্রি করা আমে কার্বাইডের উপস্থিতি পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি জানান, এনিয়ে ব্যবসায়ীদের সচেতন করা শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য, মালদায় প্রায় ৩৩ হাজার হেক্টর বাগানে আম চাষ হয়। গত বছর গ্রীষ্মের দাবদাহের কারণে বহু আমচাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। তবে এবার ভালো ফলন হতে পারে বলে আশা করছেন আম চাষিরা।
প্রসঙ্গত, ক্যালসিয়াম কার্বাইড সাধারণত আমের মতো ফল পাকানোর জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এই রাসায়নিক ব্যবহার করলে আম থেকে অ্যাসিটিলিন গ্যাস নির্গত হয়। এর সঙ্গে আর্সেনিক এবং ফসফরাসের মতো ক্ষতিকারক গ্যাসও মিশে থাকে। এই রাসায়নিক শরীরের সংস্পর্শে আসলে একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। মাথা ঘোরা, ত্বকে জ্বালা, দুর্বলতা প্রভৃতি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি হয়। এমনকী ফুসফুসের সমস্যা হয়।