বিগত কয়েক মাসে বাংলা জুড়ে একাধিকবার নগদ টাকার পহাড় উদ্ধার হয়েছে। রাজনীতিবিদ ঘনিষ্ঠ অভিনেতা থেকে শুরু করে মৎসব্যবসায়ী, কাউন্সিলর, রাজনীতিবিদ, ই-গেম প্রতারক, অনেকের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে নগদ টাকার পাহাড়। এবার টাকার পাহাড় উদ্ধার হল মালদার এক পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়ি থেকে। অভিযু্ক্তের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে থরে থরে ৫০০ টাকা নোটের বান্ডিল। সব মিলিয়ে নগদে মোট ৩৭ লাখ টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, শনিবার মালদার কালিয়াচক থানার মোজমপুর-শ্রীরামপুর এলাকার গঙ্গানারায়ণপুর গ্রামে তল্লাশি চালিয়েছিল রাজ্য পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্কফোর্স। গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতেই এই অভিযান চালানো হয়েছিল। এরপরই তাদের হাতে আসে লাখ লাখ টাকা। তদন্তকারীরা জানান, মাদক পাচারের সঙ্গে যোগ রয়েছে উদ্ধার হওয়া এই নগদ টাকার। এসটিএফের তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান এই বিপুল পরিমাণ অর্থ রয়েল শেখের। এই রয়েলকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে হেরোইন সহ গ্রেফতার করেছিল সিআইডি।
এদিকে রয়েলের স্ত্রী ফাতিমাকে মূল অভিযুক্ত হিসেবে নগদ টাকা উদ্ধারের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তাছাড়া রয়েল শেখকেও সংশোধনাগারে গিয়ে জেরা করবে পুলিশ। এর আগে সেপ্টেম্বরের শুরুতে মালদায় এক মাছ ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দিয়ে প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করেছিল সিআইডি। ২ মাসের মাথায় ফের একই জেলায় বিপুল পরিমাণ নগদ উদ্ধার ঘিরে তাই কপালে চিন্তার ভাঁজ তদন্তকারীদের। সীমান্তবর্তী এই জেলা দিয়ে মাদক পাচারের রমরমা চলছে বলে আশঙ্কা। তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী মালদার কালিয়াচক থানার মোজমপুর, শ্রীরামপুর, গঙ্গানারায়ণপুর, শাহবাজপুর, জালুয়াবাথাল-সহ বিভিন্ন এলাকায় মাদক কারবারের জাল ছড়িয়ে পড়েছে। এদিকে তদন্তকারীদের দাবি, এলাকার বেশ কিছু প্রভাবশালী এই অসাধু ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।