পুরসভার প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ারের বাড়ি থেকে নগদ সাত কোটি টাকা উদ্ধার করা হল। শুধু তাই নয়, তাঁর বাড়ি থেকে কয়েক ভরি সোনার গয়না বাজেয়াপ্ত করেছে রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা। যদিও সরকারিভাবে আপাতত বিষয়টি নিয়ে কিছু জানানো হয়নি। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার দুপুর একটার পরে এগরার পুরসভার সাত নম্বর ওয়ার্ডে পুরসভার সহকারী ইঞ্জিনিয়ার চন্দন দাসের বাড়িতে আসেন রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার চারজন অফিসার। ছয় ঘণ্টার মতো চলে তল্লাশি অভিযান। বাজেয়াপ্ত করা হয় নগদ সাত কোটি টাকা এবং কয়েক ভরি সোনা। আর এমন একটা সময় সেই ঘটনা ঘটেছে, যখন দিঘায় আছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখান থেকে এগরার দূরত্ব মেরেকেটে ৪০ কিলোমিটার।
দীর্ঘদিন এগরা পুরসভায় ছিলেন চন্দন
যদিও এগরার বাড়িতে যখন মঙ্গলবার রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার অফিসাররা আসেন, তখন সেখানে ছিলেন না চন্দন। যাঁর বিরুদ্ধে কাটমানি খাওয়ার একগুচ্ছ অভিযোগ উঠেছিল। সূত্রের খবর, ১৯৯৩ সালে এগরা পুরসভায় অস্থায়ী সহকারী ইঞ্জিনিয়ারি হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৯৪ সালে স্থায়ী হয়ে গিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন সেই পুরসভায় ছিলেন। আর সেইসময় তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল।
কাটমানি নিয়ে কাজের বরাত পাইয়ে দিতেন, ওঠে অভিযোগ
অভিযোগ উঠেছিল যে ক্রমশ পুরসভার বিভিন্ন কাজে চন্দনের দাপট বাড়ছিল। উদ্যান হোক বা নিকাশি হোক বা রাস্তা- কাটমানি নিয়ে ঠিকাদারদের বরাত পাইয়ে দিতেন চন্দন। যে ঠিকাদার সংস্থা ‘নজরানা’ দিত, সেটিকেই বরাত পাইয়ে দিতেন। সেভাবেই চলছিল। কিন্তু একটা সময় তাঁর বিরুদ্ধে নবান্নে অভিযোগ করা হয়েছিল। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বলে সূত্রের খবর।
ধূপগুড়ি পুরসভায় একেবারে ‘সাফ-সুতরো’ ছবি ছিল
সেই নির্দেশের কয়েক বছরে চন্দনকে এগরা থেকে বদলি ধূপগুড়ি পুরসভায় পাঠানো হয়। সেটা বদলির থেকে বেশি 'শাস্তিমূলক বদলি' ছিল বলে একটি মহলের তরফে দাবি করা হয়। তবে ধূপগুড়ি পুরসভায় তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ওঠেনি। সেখানে একেবারে ‘সাফ-সুতরো’ ছবি ছিল তাঁর। তারইমধ্যে ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন চন্দন।
আরও পড়ুন: Kolkata Metro Fare Surcharge Latest: কলকাতা মেট্রোয় ভাড়া বাড়ছে না আজ থেকে, কবে চালু হবে?
কলকাতায় ফ্ল্যাট আছে চন্দনের
সূত্রের খবর, এগরায় বাড়ির পাশাপাশি কলকাতার বাগুইআটিতেও চন্দনের একটি ফ্ল্যাট আছে। তাঁর শ্বশুরবাড়িও কলকাতায়। ফলে মূলত কলকাতায় থাকতেন। একটি মহলের দাবি, কলকাতার ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালিয়েছেন রাজ্য পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা।