বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > অন্যান্য জেলা > Tapan Kandu Murder: তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার আরও এক, বিহার থেকে পাকড়াও করল সিবিআই

Tapan Kandu Murder: তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার আরও এক, বিহার থেকে পাকড়াও করল সিবিআই

তপন কান্দু। ফাইল ছবি

সিবিআই সূত্রে খবর, কংগ্রেস কাউন্সিলরের হত্যাকাণ্ডে এই শশিভূষণের ভূমিকা কী ছিল?‌ তা জানতে চাইছে সিবিআই। কোন সূত্রে যোগাযোগ ঘটেছিল তাও খোঁজ করছে সিবিআই। তদন্তে নেমে অনেকগুলি সূত্রে পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলি নিয়ে এই শশিভূষণকে জেরা করতে চায় সিবিআই অফিসাররা। 

পুরুলিয়ার ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে আরও এক দুষ্কৃতীকে বিহারের মুজফ্‌ফরপুর থেকে গ্রেফতার করল সিবিআই। এই খুনে সে জড়িত ছিল বলে তথ্য পেয়েছে সিবিআই। ধৃতের নাম শশিভূষণ সিনহা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। বৃহস্পতিবার বেশি রাতেই তাকে সিবিআইয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়েছিল। আজ, শুক্রবার তাকে পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হবে। কয়েকদিন আগে ঝাড়খণ্ডের রামগড় থেকে এক ‘‌ভাড়াটে খুনি’‌কে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। ধৃত কলেবর সিংয়ের সঙ্গেই ছিল জাবির আনসারি বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এই জাবির আনসারিকেই গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। এবার গ্রেফতার আরও এক।

কেমন করে এই তথ্য পেল সিবিআই?‌ তপন কান্দু হত্যাকাণ্ডে শার্প শুটার জাবির আনসারিকে জেরা করেই শশিভূষণের সন্ধান পেয়েছে সিবিআই। সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই বিহারের মুজফ্‌ফরপুরে হানা দেয় সিবিআই। শুক্রবার শশিভূষণকে পুরুলিয়া জেলা আদালতে তুলে সিবিআই তাকে নিজেদের হেফাজতে নিতে চাইতে পারে বলে সূত্রের খবর।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ ঝালদা পৌরসভা নির্বাচনে তপন কান্দুর বিরুদ্ধে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ছিলেন তাঁরই ভাইপো দীপক কান্দু। পৌরসভা নির্বাচনে ভাইপোকে হারিয়ে জয়ী হন কাকা তপন কান্দু। তারপর গত ১৩ মার্চ, বোর্ড গঠনের আগে দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হন তিনি। তদন্ত শুরু হলে গ্রেফতার হন দীপক, তাঁর বাবা নরেন কান্দু, ঝালদার ধূপ ব্যবসায়ী আশিক খান, হোটেল মালিক সত্যবান প্রামাণিক এবং ভাড়াটে খুনি যোগসূত্রে অভিযুক্ত কলেবর সিং। এই কলেবর সিং, জাবির আনসারি, শশিভূষণ সিনহা পরস্পরকে চেনে বলে সিবিআই সূত্রে খবর।

সিবিআই ঠিক কী করতে চাইছে?‌ সিবিআই সূত্রে খবর, কংগ্রেস কাউন্সিলরের হত্যাকাণ্ডে এই শশিভূষণের ভূমিকা কী ছিল?‌ তা জানতে চাইছে সিবিআই। কোন সূত্রে যোগাযোগ ঘটেছিল তাও খোঁজ করছে সিবিআই। তদন্তে নেমে অনেকগুলি সূত্রে পাওয়া যাচ্ছে। সেগুলি নিয়ে এই শশিভূষণকে জেরা করতে চায় সিবিআই অফিসাররা। তাই নিজেদের হেফাজতে নিতে চায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এই মামলায় এখনও পর্যন্ত ছ’জন গ্রেফতার হয়েছে। বৃহস্পতিবার শশিভূষণকে গ্রেফতারির পর এই সংখ্যা হল সাত।

বন্ধ করুন