কোচবিহারে ভোট পরবর্তী হিংসার জেরে তৃণমূল কর্মী শাহিনুর রহমান খুনের ঘটনায় এবার সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার চারজন বিজেপি কর্মী। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে যখন একের পর এক প্রশ্ন তুলছিলেন তৃণমূল নেতৃত্ব, তখনই চারজন বিজেপি কর্মীকে জালে পুড়ে ফেললেন সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকরা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে এলাকায়। প্রসঙ্গত গত ৪ঠা মে থেকে নিখোঁজ ছিলেন তৃণমূল কর্মী শাহিনুর রহমান। এরপর ৫ই মে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে ভুট্টা ক্ষেত থেকে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়। এনিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোরও কিছু কম হয়নি। এরপর সিবিআইয়ের হাতে যায় তদন্তভার। ভোট পরবর্তী হিংসার মামলার তদন্তে কোচবিহারে যান সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। দিন দুয়েক আগে গোপালপুরে কয়েকজনকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। এরপরই শনিবার সিবিআই চারজনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম গোবিন্দ দাস, ঈশ্বর দাস, মিহির চন্দ্র ও অপরজনের নাম ঈশ্বর দাস। তারা বিজেপি কর্মী বলেই পরিচিত। ধৃতদের পরিবারের দাবি , সিবিআই প্রাথমিকভাবে তাদের জেরা করার জন্য তুলে নিয়ে যায়। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা ঘটনায় অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।
ধৃত ঈশ্বর দাসের স্ত্রী পিঙ্কি দাস বলেন, জেরা করার কথা বলে সিবিআই নিয়ে গিয়েছিল। আমার স্বামী ঘটনার সঙ্গে জড়িত নন। এরপর রাতে আমাকে ফোন করে জানায় আমার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে বিজেপির নাটাবাড়ি বিধানসভার কো কনভেনার চিরঞ্জিত দাস বলেন, শাহিনুর রহমানের খুনের ঘটনায় দোষীরা শাস্তি পাক এটা আমরাও চাই। কিন্তু শাহিনুর রহমান আদৌ তৃণমূল কর্মী ছিলেন কি না সেটা তৃণমূলকে নিশ্চিত করতে হবে। আমরা তদন্তের ব্যাপারে সবরকম সহযোগিতা করছি। সিবিআইয়ের প্রতি আমাদের আস্থা রয়েছে। ধৃতদের মধ্যে দু একজন বিজেপি কর্মী রয়েছেন। এফআইআরে তাদের নাম ছিল না। তবে এবার অভিযুক্ত তৃণমূলের নেতা কর্মীদের নামও সামনে আসবে।