অনুব্রত মণ্ডল এখন জেলে। সায়গলকে নিয়েও টানাটানি চলছে। আবারও বীরভূমে চষে বেড়াচ্ছে সিবিআই। দুর্গাপুজো মিটতেই সিবিআইয়ের তৎপরতা বেড়েছে। আর সেটা দেখা গেল, আবার অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলকে সিবিআইয়ের নোটিশ পাঠানোর মধ্য দিয়ে। এমনকী সুকন্যার সংস্থার নথি তলব করা হয়েছে। আগামী সোমবারের মধ্যে সেসব নথি দেখাতে হবে সুকন্যাকে। সুতরাং সেদিনই তাঁকে সশরীরে হাজিরা দিয়ে দেখাতে হবে নথিপত্র।
বিষয়টি ঠিক কী ঘটেছে? অনুব্রত মণ্ডলের পরিচারকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে বিপুল পরিমাণ নগদ লেনদেনের নথি পায় সিবিআই। আর এই মামলার তদন্তে নেমে সিবিআই বোলপুরের অস্থায়ী ক্যাম্পে বহুদিন ধরে থাকছে। সেখান থেকেই তদন্ত জারি রযেছে। এমনকী সিবিআই অফিসাররা গরুপাচার মামলায় এখান থেকে একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়েছেন। অনুব্রত মণ্ডলের নামে–বেনামে সম্পত্তি এবং তাঁর আত্মীয়দের সম্পত্তির উৎস এখান থেকেই তদন্ত হয়েছে। সুতরাং এখানেই সুকন্যা মণ্ডলকে দেখা করতে হবে।
সুকন্যাকে কেন তলব করা হল? সিবিআই সূত্রে খবর, সুকন্যা মণ্ডলের সংস্থা এএনএম অ্যাগ্রোকেম ফুড লিমিটেড। এখানে বহু কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। আর তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ বেড়েছিল। সেই আয়ের উৎস জানতেই নোটিশ পাঠিয়েছে সিবিআই। সেই নোটিশে বলা আছে, কোম্পানির যাবতীয় কাগজপত্র, নথি নিয়ে আগামী সোমবারের মধ্যে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে হবে সুকন্যা মণ্ডলকে। গরু পাচারের টাকা এই সংস্থায় ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে। এই সংস্থার অপর পার্টনার বিদ্যুৎবরণ গায়েনকেও নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? ইতিমধ্যেই ‘শিব শম্ভু’ রাইস মিলে অভিযান চালিয়েছেন সিবিআই অফিসাররা। সেখান থেকেও বোএশ কয়েখটি নথি উদ্ধার হয়েছে। তাই তা নিয়েও জানতে চায় সিবিআই। রাইস মিলের এখন মালিক সঞ্জীব মজুমদারকেও তলব করেছে সিবিআই। এই প্রতিটা বিষয় একে অপরের সঙ্গে জড়িত বলে মনে করছে সিবিআই। তাই জট কাটাতে সুকন্যাকে তলব করা হয়েছে। বাকিদেরকে তলব করে বয়ান মিলিয়ে দেখা হবে। ২০১৫ সালের পর থেকে অনুব্রত কন্যা সুকন্যার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টেও নিয়মিত প্রচুর নগদ টাকা জমা হতো। তাও জানতে চাইবেন তদন্তকারীরা।