আজ, বুধবার ১৪ দিনের জেল হেফাজত শেষ করে তোলা হয়েছিল আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে। কিন্তু বিচারক আবার ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পাঠাল অনুব্রত মণ্ডলকে। সুতরাং আগামী শুনানি রয়েছে ২১ সেপ্টেম্বর। অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীর কোনও যুক্তি কার্যত ধোপে টিকল না। ফলে বুধবার আবার অনুব্রতর ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়ে গেল।
কেন ফের জেল হেফাজতে অনুব্রত? আজ, বুধবার জামিনের আবেদন করা হয়। তখন সিবিআইয়ের আইনজীবী কালীচরণ মিশ্র দাবি করেন, এখন যদি অনুব্রত মণ্ডলের জামিন হয়ে যায় তাহলে তদন্ত একদমই করা যাবে না। অনুব্রত মণ্ডলের হয়ে বীরভূম জেলার আইনজীবী অনুপম আঢ্য এবং আইনজীবী মলয় মুখোপাধ্যায় আসানসোল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা জামিনের জন্য সওয়াল করেন। কিন্তু দু’পক্ষের সওয়াল–জবাব শুনে আগামী ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। এদিন ফের একবার অনুব্রতকে প্রভাবশালী বলে উল্লেখ করে সিবিআই।
সিবিআই কী দাবি করেছে? এদিন আদালতে সিপিআইয়ের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গরুর হাট থেকে গরু পাচার হয়ে যেত বাংলাদেশ সীমান্তে। তার পুরো তথ্য দেওয়া হয়েছে সিডিতে। এমনকী শুল্ক দফতর কোনও পদক্ষেপ করলে স্থানীয়রাই বিভিন্নভাবে বাধা দিতেন। আর এই পুরো কাজটাই হতো অনুব্রতের অঙ্গুলিহেলনে। পাল্টা অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী ফারুক রেজ্জাক বলেন, ‘সায়গল যে টাকা তুলতেন, তাতে আমার মক্কেলের কী দোষ? তিনি কি বলতেন টাকা তুলতে? তার কি কোনও প্রমাণ দিয়েছে সিবিআই? তাছাড়া আমার মক্কেল অসুস্থ। তাঁকে জামিন দেওয়া হোক।’ আর সিবিআইয়ের আইনজীবী কালীচরণ মিশ্র বলেন, ‘সিডিতে প্রমাণ দেওয়া আছে।’
আর কী দাবি ওঠে আদালতে? সিবিআই এদিন আদালতে জমা করেছে অনুব্রত মণ্ডল এবং তাঁর ঘনিষ্ঠদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের তথ্য। তাছাড়া তাঁর নামে বহু সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে বলে দাবি করে সিবিআই। এমনকী এনামুলের সঙ্গে যে টাকার লেনদেন হয়েছে, তার তথ্য রয়েছে। সিবিআই আদালতে এও দাবি করেছে, অনুব্রত মণ্ডল এতটাই প্রভাবশালী যে শুল্ক আধিকারিকদেরও হুমকি দিতেন। এরই পাল্টা, বাংলাদেশে যে গরু পাচার করা হতো তার কোনও নির্দিষ্ট তথ্য নেই সিবিআই আধিকারিকদের কাছে বলে আদালতে সওয়াল করলেন অনুব্রতের আইনজীবী। তবে অনুব্রতকে আসানসোল সংশোধনাগার থেকে বের করে গাড়িতে তোলার সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘শরীর ভাল নেই।’