সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে ফের এলাকায় পৌঁছল সিবিআই। শনিবার প্রচণ্ড দাবদাহ উপেক্ষা করে সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগকারীদের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। অভিযোগকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা।
সন্দেশখালিতে ফের CBI
এদিন সন্দেশখালিতে পৌঁছে ২টি দলে ভাগ হয়ে যান সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা। এর পর বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে ই-মেইলের মাধ্যমে যারা অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তাদের বাড়িতে যান তাঁরা। কথা বলেন অভিযোগকারীদের সঙ্গে। তথ্য প্রমাণ ও নথি সংগ্রহ করেন তাঁরা।
আদালতের নির্দেশে তদন্ত
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্ত করছে সিবিআই। সন্দেশখালির বাসিন্দাদের জমি দখল, নির্যাতন, মহিলাদের ধর্ষণের অভিযোগের তদন্তভার সিবিআইকে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত সিবিআইকে একটি পোর্টাল খুলে অভিযোগ গ্রহণ করতে বলে। ১৫ দিনের মধ্যে অভিযোগ জমা দিতে হবে গ্রামবাসীদের। অভিযোগকারীদের গোপনীয়তা রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ বলে জানায় আদালত। এর পর একটি ই-মেইল আইডি চালু করে গ্রামবাসীদের অভিযোগ জমা দিতে বলে সিবিআই। সেখানে জমা পড়া অভিযোগের তদন্ত করছেন গোয়েন্দারা। কিন্তু সিবিআই গোয়েন্দারা অভিযোগকারীদের বাড়িতে পৌঁছে যাওয়ায় তাদের গোপনীয়তার অধিকার খর্ব হচ্ছে কি না সেই প্রশ্ন উঠছে।
আরও পড়ুন: ভাঙড়ে শওকত মোলার নামে পড়ল পোস্টার, উঠল তৃণমূল বিধায়ককে গ্রেফতারের দাবি
পড়তে থাকুন: মুর্শিদাবাদের দুই ওসিকে সাসপেন্ড করল কমিশন, বড় শাস্তি! পাঠানো হল হেডকোয়ার্টারে
আদালতের নির্দেশে আগামী ২ মের মধ্যে সিবিআইকে যাবতীয় অভিযোগের তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ করতে হবে। যে কোনও ব্যক্তি, সংস্থা বা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কাছ থেকে তথ্য নিতে পারবে সিবিআই।
এছাড়া সন্দেশখালির স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে রাজ্য সরকারকে ১৫ দিনের মধ্যে সোলার পথবাতি ও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরও পড়ুন: নিজের ভোটটা ঘাসফুলে কেমন করে দেবেন? জনগণকে টিপস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী
সন্দেশখালির বাসিন্দাদের দাবি, শাহজাহান, আলমগির, শিবু হাজরা, উত্তম সরদারের মতো তৃণমূলি দুষ্কৃতীরা গ্রেফতার হলেও তাদের অনেক অনুচর এখনও সন্দেশখালিতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। গ্রামবাসীদের হুমকি দিচ্ছে তারা।