নদিয়ার হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে ডিএনএ পরীক্ষা করতে চায় সিবিআই। এই ঘটনায় প্রথমে গণধর্ষণ এবং তথ্য প্রমাণ লোপাটের মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। সিবিআই ঘটনার তদন্ত করার পরে নতুন নতুন তথ্য জানতে পারছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন নির্যাতিত নাবালিকার শারীরিক অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসক বা অন্য কাউকে জানালে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল তার পরিবারকে। অসুস্থ ব্যক্তিকে চিকিৎসা করতে না দেওয়াটা পরোক্ষে খুন বলেই দাবি তদন্তকারীদের। সে ক্ষেত্রে যা পরিস্থিতি গণধর্ষণের পাশাপাশি খুনের ধারা বলবৎ হওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। সেক্ষেত্রে ডিএনএ পরীক্ষা প্রয়োজন বলে দাবি সিবিআইয়ের।
এদিকে, ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ১২ জনের সাক্ষী নেওয়া হয়েছে। তাদের সকলের গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে যার মধ্যে রয়েছে নির্যাতিতার বাবা-মা, শ্মশানযাত্রী, অভিযুক্ত সহ আরও বেশ কয়েকজন। সে ক্ষেত্রে অভিযুক্তদের আরও একবার তাদের গোপন জবানবন্দি নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা মনে করছে সিবিআই। কারণ তারা জানতে পেরেছেন অভিযুক্তরা এলাকায় খুবই প্রভাবশালী। সেক্ষেত্রে ভয় দেখানোর ফলে বয়ানে অসংলগ্নতা থাকতে পারে। সেই কারণে তাদের নতুন করে বয়ান লিপিবদ্ধ করতে চাইছে সিবিআই।
উল্লেখ্য,অভিযুক্তরা যে প্রভাবশালী তা প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল সিবিআই সেখানে যাওয়ার পরেই। প্রথম যখন সিবিআই সেখানে গিয়েছিল তখন পুরো এলাকাটি লোডশেডিং হয়ে গিয়েছিল। এরপর শনিবার রাতে সিবিআই আধিকারিকদের পিছু নিতে দেখা যায় বেশ কয়েকজন যুবককে। সিবিআই আধিকারিকরা যতক্ষণ এলাকায় ঘুরে বেড়িয়েছেন ততক্ষণ ওই যুবকদের সিবিআইয়ের পিছু নিতে দেখা যায়।