এবার কাঁথি থানায় হানা দিল সিবিআই। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর খাসতালুকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার উপস্থিতি নিয়ে জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এখানে দুর্নীতির খোঁজে সিবিআই অফিসাররা এসেছেন বলেই খবর। তারপর থেকেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী রামচন্দ্র পণ্ডার বিরুদ্ধে রাস্তা দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। সেই মামলার তদন্ত করতে এবার কাঁথি থানায় হাজির হলেন সিবিআই কর্তারা।
এদিকে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই রাজ্যের নানা দুর্নীতির তদন্ত করছে। সেখানে এবার কাঁথির রাস্তা নির্মাণের কাজ নিয়ে সাংসদ তহবিলের টাকা তছরুপ করার অভিযোগ উঠেছে। এই মামলার তদন্ত শুরু করছিল কাঁথি থানার পুলিশ। অভিযোগ, কাঁথি ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের একটি রাস্তা নির্মাণ না করেই সাংসদ তহবিলের টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। আর রামচন্দ্র পণ্ডা একজন অধিকারী পরিবার ঘনিষ্ঠ ঠিকাদার। তাঁকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে শেখ কুদ্দুস নামে জনৈক ব্যক্তি কাঁথি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। তাঁর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করে কাঁথি থানার পুলিশ। পরে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে।
আর কী জানা যাচ্ছে? অন্যদিকে সেই সময় কাঁথি পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন সৌমেন্দু অধিকারী। তাঁর ঘনিষ্ঠ ঠিকাদার রামচন্দ্র পণ্ডাকে বিশেষ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। একইসঙ্গে রাস্তা তৈরির কাজ না করে টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ সামনে আসে। তখন তদন্তে নেমে পুলিশ রামচন্দ্র পণ্ডাকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে জামিন পান রামচন্দ্র পণ্ডা। তবে তদন্ত নিয়ে একটি রিপোর্ট আদালতে পৌঁছলে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তাই শুরু হয় তৎপরতা।
তারপর ঠিক কী ঘটল? এছাড়া কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশকে মান্যতা দিয়ে এবার সেই মামলার তদন্ত করতে কাঁথি থানাতে আসে সিবিআইয়ের অফিসাররা। শুক্রবার দুপুরে তাঁরা এলেও আজ, শনিবার কাঁথিতেই রয়েছেন বলে খবর। কাঁথি থানায় এসে তাঁরা টেন্ডার দুর্নীতি মামলা নিয়ে কথা বলেন। রামচন্দ্র পণ্ডা টেন্ডার মামলার তদন্তে সিবিআই আসায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে কাঁথিতে। কাঁথি থানার কাছ থেকে মামলা সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করেন সিবিআই অফিসাররা। এবার সেসব খতিয়ে দেখে এগোবেন তাঁরা বলে সূত্রের খবর।