গরুপাচারকাণ্ডের তদন্তে নেমে সম্প্রতি অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর আত্মীয়দের বিপুল ফিক্সড ডিপোজিট বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। জানা যায়, বাজেয়াপ্ত অর্থের পরিমাণ প্রায় ১৭ কোটি টাকা। সেই বিপুল পরিমাণ অর্থের উৎস খুঁজতে এদিন বীরভূমের ভোলে ব্যোম রাইস মিলে পৌঁছান সিবিআই আদিকারিকরা। তবে রাইস মিলের গেট বন্ধ থাকায় প্রথমে ঢুকতে পারেনি সিবিআই-এর দল। সেখানে পৌঁছানের দীর্ঘ প্রায় ৪০ মিনিট পর রাইস মিলের ভেতর ঢোকেন সিবিআই আধিকারিরা। (আরও পড়ুন: নবান্নে মমতার সঙ্গে দেখা সুব্রহ্মণ্যম স্বামীর, হাসি হাসি মুখে কী কথা হল দু'জনের?)
এদিকে রাইস মিলে ঢুকতেই তদন্তকারীদের চোখ কপালে ওঠে। তালা খুলে ভেতরে ঢুকতেই একটি শেডের উপর নজর পড়ে তদন্তকারীদের। সেখানে একাধিক মূল্যবান এসইউভি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন তদন্তকারীরা। তবে এই গাড়ি কার, সেই দবাব দিতে পারেননি সেখানকার নিরাপত্তারক্ষী। এদিকে সবকটা গাড়ি কালো। সেগুলিতে তৃণমূলের স্টিকার লাগানো ছিল বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ২০১১ সালে এই রাইস মিল কিনেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। মিলের মালিক কেষ্টর প্রয়াত স্ত্রী ছবি মণ্ডল এবং মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল।
আরও পড়ুন: ‘যেভাবে বিদেশি মেয়েরা প্রেমিক বদল করেন...’, নীতীশকে তোপ দাগতে গিয়ে বেফাঁস কৈলাস
১৬ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই
এর আগে বুধবার বিভিন্ন ব্যাঙ্কে অনুব্রতর আত্মীয়দের নামে থাকা ১৬ কোটি ৯৭ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। অনুমান, গরুপাচারের টাকা আত্মীয়দের নামে ফিক্সড ডিপোজিট করে রেখেছিলেন অনুব্রত। এই আবহে বুধবার অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ে সুকন্যাকে জেরা করতে তাঁর বোলপুরের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। কিন্তু সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করেন সুকন্যা। সেদিনই আবার অনুব্রতর হিসাবরক্ষককে জেরা করেন তদন্তকারীরা। এরপরই আজকের এই হানা। যদিও সেখানে পৌঁছে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছিল তদন্তকারীদের। হাঁকডাক করেও কারও সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে অবশ্য গেটে লাগানো তালার চাবি আসে। গেট খুলে যায়। ভেতরে ঢুকে তল্লাশি শুরু করেন তদন্তকারীরা।