এবার একেবারে তৃণমূলের পার্টি অফিসেও হানা দিলেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। সেটাও আবার খোদ অনুব্রতর গড়, বীরভূমে। তৃণমূলের দাবি, দলকে অস্বস্তিতে ফেলতেই এদিন সিবিআই হানা দিয়েছিল শাসকদলের কার্যালয়ে। দল সূত্রে খবর, এদিন ইলামবাজারে দলীয় কার্যালয়ে আচমকাই চলে আসেন সিবিআই আধিকারিকরা। তাঁদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও ছিলেন। ইলামবাজারের তৃণমূল নেতা বাবর আলির সঙ্গে প্রায় আধ ঘণ্টা কথা বলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
এদিকে ইলামবাজারের গোপালনগরে ভোট পরবর্তী হিংসায় গৌরব সরকার নামে এক ব্যক্তি খুন হয়েছিলেন। এরপর ভনা মির্ধা নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তারপরই তৃণমূলের কার্যালয়ে হানা দিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। গোটা ঘটনায় যথেষ্ট অস্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্ব।
বাবর আলি বলেন, ‘কয়েকজন সিবিআই আধিকারিক পার্টি অফিসে এসেছিলেন। তারা অনেকক্ষণ ধরে কথাবার্তা বলেছেন। কয়েকজনের ফোন নম্বর চেয়েছেন। গোপালনগরের ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলেন। গোপালনগরের ২০১৯ ও ২০২১য়ের লিস্টটা সিবিআই চেয়েছে। সেব্যাপারেই নোটিশ করেছে।’ এদিকে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ‘দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য এসব করা হচ্ছে।গোপালনগরের ঘটনায় সিবিআই প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করুক এটা আমরাও চাই। কিন্তু হঠাৎ করে যেভাবে সিবিআই পার্টি অফিসে ঢুকল তার কোনও কারণ নেই। পুরোপুরি বিজেপির অঙ্গুলিহেলনে সিবিআই চলছে। ’