হাঁসখালিকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সমরেন্দ্র গয়ালিকে ৪ দিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দিল রানাঘাট মহকুমা আদালত। অন্য অভিযুক্ত পীযূষ ভক্তকেও একই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। এদিন আদালতে চাঞ্চল্যকর দাবি করে সিবিআই। সিবিআইয়ের আইনজীবী বলেন, ছেলের কীর্তির কথা সব জানতেন সমরবাবু। নির্যাতিতার পরিবারকে ধমকানোর জন্য লোক জোগাড় করেছিলেন তিনিই।
এদিন আদালতে সিবিআই দাবি করেন, ৪ মার্চ রাতে বাড়িতে কী হয়েছে তা সব জানতেন মূল অভিযুক্ত ব্রজ গয়ালির বাবা সমরেন্দ্র গয়ালি। ফোনে তিনি ছেলেকে যাবতীয় নির্দেশ দিয়েছিলেন। এমনকী নির্যাতিতার নির্যাতিতার পরিবারকে ধমকানোর জন্য লোক জোগাড় করেছিলেন তিনিই। মৃত্যুর পর নির্যাতিতার দেহ দ্রুত সৎকারের ব্যবস্থাও হয়েছিল তাঁরই উদ্যোগে। এমনকী সেজন্য নিজের রাজনৈতিক প্রভাবও ব্যবহার করেছিলেন সমরেন্দ্র গয়ালি।
সিবিআইয়ের দাবি, সমরেন্দ্র গয়ালি এলাকায় অত্যন্ত প্রভাবশালী। তাঁর ভয়েই নির্যাতিতাকে হাসপাতালে পর্যন্ত নিয়ে যেতে পারেনি তার পরিবার। তার বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক অভিযোগ উঠেছে। রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে সেগুলিও ধামাচাপা দিয়েছেন তিনি।
এদিন আদালত থেকে বেরনোর সময়, সমর গয়ালিকে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, তিনি কি নাবালিকাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দিয়েছিলেন। জবাবে সমর গয়ালি বলেন, যা বলার পরের শুনানিতে বলব।
দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে শুক্রবার সমরেন্দ্র গয়ালিকে গ্রেফতার করে সিবিআই। সঙ্গে গ্রেফাতর হন সমরেন্দ্রর বন্ধু পীযূষ ভক্ত। তাদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাট ও ষড়যন্ত্রে যুক্ত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।