কয়লা–গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে একের পর এক তথ্য উদঘাটন করছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, তাদের নজরে রয়েছেন রাজ্য পুলিশের ইন্সপেক্টর–ডিএসপি পদমর্যাদার এক অফিসার-সহ ছ'জন। তাঁদের নোটিস পাঠানো হয়েছে। এই নোটিস পাঠায় সিবিআইয়ের আর্থিক দুর্নীতি দমন শাখা। তার আগে মালদহের দুই পুলিশকর্মীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই।
চলতি সপ্তাহেই ওই পুলিশ আধিকারিকদের তলব করা হয়েছে। সিবিআই দাবি করেছে, কয়লা–গরু পাচার কাণ্ডে অভিযুক্তদের সঙ্গে এঁদের যোগ রয়েছে। সেই তথ্য রয়েছে তাদের হাতে। আরও কয়েকজন পুলিশ আধিকারিকের নাম তদন্তে উঠে এসেছে। আগামিদিনে তাঁদেরও তলব করা হবে।
কয়লা–গরু পাচারকাণ্ডে তৎপর সিবিআই। দফায় দফায় চলছে তল্লাশি ইতিমধ্যেই কয়লাকাণ্ডে এবার সিবিআই–এর ব়্যাডারে এসেছে অন্যতম অভিযুক্ত গণেশ বাগাড়িয়া। সূত্রের খবর, গত সপ্তাহেই দেশে ফিরেছেন তিনি। শীঘ্রই সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে পারেন বলেই খবর। কয়লা পাচারকাণ্ডে ব্যবসায়ী অনুপ মাঝি ওরফে লালার খোঁজ এখনও পায়নি সিবিআই। তবে ৩১ ডিসেম্বর গরু পাচারকাণ্ডে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও ব্যবসায়ী বিনয় মিশ্রের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি অভিযান হয়েছে। রাসবিহারী ও চেতলায় ওই ব্যবসায়ীর দুটি বাড়িতে হানা দেন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা।
উল্লেখ্য, এর আগে গণেশ বাগাড়িয়ার লেকটাউনের বাড়িতে তল্লাশি চালায় সিবিআই। এ ক্ষেত্রে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে সিবিআই। কয়লা ও গরু পাচারের টাকা পয়সার সরাসরি গণেশ বাগারিয়ার কাছে এসেই পৌঁছত বলে খবর। ফলে এক্ষেত্রে জেরায় একাধিক সূত্র মিলতে পারে বলেই মনে করছে সিবিআই।
কয়লা পাচারকাণ্ডে গত ৩১ ডিসেম্বর হুগলির কোন্নগরের দুই ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালায় সিবিআই। অমিত সিং ও নবীন সিংয়ের বাড়িতে হানা দেন সিবিআই অফিসাররা। ওই দুই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে বলে সিবিআই সূত্রে খবর। এর আগে গরু পাচার কাণ্ডের তদন্তে এক ডিআইজি–সহ বিএসএফের চার অফিসারকে নোটিস পাঠায় সিবিআই। ওই চারজনকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজির হতে বলা হয়। যে চারজনকে নোটিস পাঠানো হয় তাঁদের মধ্যে একজন ছিলেন ডিআইজি পদমর্যাদার অফিসার। এছাড়া ছিলেন দু’জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমান্ডান্ট এবং একজন ডেপুটি কমান্ড্যান্ট পদমর্যাদার অফিসার।