পেশায় টোটো চালক, অথচ তৃণমূলের হাইপ্রোফাইল নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রয়েছে তার। গরু পাচারকারকাণ্ডে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেন গ্রেফতার হওয়ার পরেই এখন এই টোটো লোকের নাম প্রকাশ্যে আসছে। তবে এই টোটো চালককের নাম উঠে এসেছে ভোট-পরবর্তী হিংসা মামলায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সম্প্রতি ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই। পূর্ব বর্ধমানের বাসিন্দা এই টোটো চালকের নাম অজয় দাস। দুর্গাপুরের এনআইটি গেষ্ট হাউসে আগামী ১৬ জুন তাকে হাজিরা দিতে বলেছে সিবিআই।
পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের সীতাহাটি পঞ্চায়েতের নৈহাটি গ্রামের বাসিন্দা হলেন অজয় দাস। বছর খানেক আগে তার স্ত্রী মারা গিয়েছেন। এখনও তার বৃদ্ধ বাবা এবং এক মেয়ে রয়েছে। মেয়ে মামার বাড়িতে থাকে। আগে লজেন্স বিক্রি করে বেড়াত অজয় দাস। এখন তিনি টোটো চালিয়ে সংসার চালান। তিনি একজন অতি সাধারণ টোটো চালক হলেও তার মোবাইলে রয়েছে তৃণমূলের হাইপ্রোফাইল নেতাদের নম্বর। অনুব্রত মণ্ডল থেকে শুরু করে নির্মল মাজি, ফিরহাদ হাকিমের আত্মসহায়কদের সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। তার দাবি, এলাকার মানুষদের সহযোগিতা করার জন্য বা কেউ বিপদে পড়লে তাদের উপকার করার জন্য এই সমস্ত নেতাদের তিনি ফোন করেন।
জানা গিয়েছে, দু-তিন দিন আগে তার হোয়াটসঅ্যাপে নোটিশ পাঠিয়েছে সিবিআই। কিন্তু, তিনি লেখা পড়া না জানায় প্রথমে তা বুঝতে পারেননি। এলাকার একজনের কাছ থেকে ওই নোটিশ পড়িয়ে নেন। পরে সিবিআই দফতর থেকে ফোন করে তাকে হাজিরা দেওয়ার কথা জানানো হয়। নেতাদের ফোন নম্বর রাখার ফলেই যে তাকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে সে কথা কার্যত স্বীকার করেছেন তিনি। তার বক্তব্য, ‘আমি তৃণমূলকে ভালোবাসি। মানুষ বিপদে পড়লে এই সমস্ত নেতাদের ফোন করি। কাউকে হাসপাতালে ভর্তি করার প্রয়োজন হলে নির্মল দাকে ফোন করি ।খুব ভাল কাজ হয়। দ্রুত ভর্তি নেওয়া হয়। এখন এই সমস্ত নেতাদের ফোন করার জন্যই হয়তো আমাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছে সিবিআই।’