পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ইডি গ্রেফতার করে প্রেসিডেন্সি জেলে পাঠিয়েছে। এবার তাঁর পিএইচডি ডিগ্রি নিয়ে জোর খোঁজখবর শুরু করল সিবিআই। ২০১২ সালে পিএইচডি করার জন্য রিসার্চ এলিজিবিলিটি টেস্ট দিয়েছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ২০১৪ সালে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি পেয়েছিলেন। তাঁর বিষয় ছিল, ট্রান্সফর্মিং ইন্ডিয়ান ইকোনমি টু নলেজ ইকোনমি–দ্য রুল অফ হিউম্যান রিসোর্স উইথ রেফারেন্স টু ইন্ডিয়া। অভিযোগ, কোর্স ওয়ার্ক করার জন্য ৭৫ শতাংশ উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। আর সেখানে মাত্র দু’দিন ক্লাস করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিয়মভঙ্গ করে তাঁকে ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে।
সিবিআই কী তথ্য পেয়েছে? সিবিআই সূত্রে খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পিএইচডি ডিগ্রি লাভের ক্ষেত্রে কারা কারা ভূমিকা নিয়েছিলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যের ভূমিকাও। গবেষণার বেশ কিছু শর্ত পূরণ না করেও ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বলে জানতে পেরেছেন সিবিআই অফিসাররা।
আর কী জানা যাচ্ছে? ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সেখান থেকে কিছু নথি, প্রতিলিপি সংগ্রহ করেছেন সিবিআই আধিকারিকেরা। সিবিআই সূত্রের খবর, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পিএইচডি বিষয়ের বেশ কিছু নথিও তাঁদের হাতে এসেছে। মার্কসিটের প্রতিলিপি, রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, কোর্স ওয়ার্ক সংক্রান্ত নথি, গবেষণার অংশবিশেষের প্রতিলিপি পেয়েছেন তাঁরা। এগুলি নিয়ে তদন্ত শুরু হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে কী জানা যাচ্ছে? বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, ৭৫ শতাংশ হাজিরা যেখানে বাধ্যতামূলক, সেখানে মাত্র দু’দিন ক্লাস করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তখন বিভাগীয় প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পিএইচডি’র জন্য উত্তরবঙ্গের এক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য এবং এক রেজিস্টারের বিশেষ ভূমিকা ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। এই সবকিছু খতিয়ে দেখতে চলেছে সিবিআই।