আজ, বৃহস্পতিবার অনুব্রত মণ্ডলকে জেরা করতে সকালেই আসানসোল বিশেষ সংশোধনাগারে আসেন সিবিআই অফিসাররা। এদিন সকাল ১০টা নাগাদ আসানসোল সংশোধনাগারে ঢোকেন সিবিআই অফিসারের টিম। সেখানে গিয়ে প্রায় একঘণ্টা তাঁরা জেরা করেন অনুব্রত মণ্ডলকে। একাধিক প্রশ্ন করা হয়। তবে বেশিরভাগ প্রশ্ন তিনি এড়িয়ে গিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
কেন হঠাৎ জেলে সিবিআই টিম? সিবিআই সূত্রে খবর, তাঁরা বীরভূম ঘুরে উদ্ধার করেন বহু বেনামি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট। সেগুলির সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের যোগ রয়েছে কিনা সেটা জানতেই আজকের এই ঝটিকা সফর। তাছাড়া কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে অনুব্রত মণ্ডলের যে সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে সে তথ্য ছিল তাঁদের কাছে। আজ তা যাচাই করতে এবং অনুব্রত মণ্ডলের মুখ থেকে শুনতে গিয়েছিলেন তাঁরা। এছাড়া আর বেশ কিছু তথ্যের সন্ধানেই অনুব্রতকে জেরা করতে এদিন তাঁরা আসানসোল সংশোধনাগারে যান।
কী তথ্য পেয়েছে সিবিআই? কিছুদিন আগে সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্ক থেকে বহু ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ পায় সিবিআই। সেখানের ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এমনকী ওই ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে নিজাম প্যালেসে পর্যন্ত তলব করে সিবিআই। মোট ১৭৭টি বেনামি অ্যাকাউন্টের হদিশ পায় সিবিআই অফিসাররা। তার মধ্যে এমন ৫০টি অ্যাকাউন্টের নাকি হদিশ মিলেছে যেখানে একজনেরই সই রয়েছে। আর ওই ৫০টি অ্যাকাউন্টে প্রায় ১০ কোটি টাকা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। গোটা বিষয়টি সম্পর্কে জানতে অনুব্রতকে জেরা করতে যান তাঁরা।
কী হতো এমন বেনামি অ্যাকাউন্টে? সিবিআইয়ের একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই বেনামি অ্যাকাউন্টগুলি ব্যবহার করে প্রচুর কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। আগেই গরু পাচার মামলায় ভুয়ো সংস্থার কথা চার্জশিটে লিখেছিল সিবিআই। এবার সিউড়ি সমবায় ব্যাঙ্কের এই অ্যাকাউন্টগুলিতেও গরু পাচারের টাকা লেনদেন হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। রাইস মিল সংক্রান্ত প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে এইসব অ্যাকাউন্ট থেকে বলে তথ্য এসেছে তাঁদের হাতে। গরুপাচার তদন্তে অনুব্রত মণ্ডলের শিবশম্ভু ও ভোলে ব্যোম রাইস মিলের কথা উঠে এসেছিল। সমবায় ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে সেই সংক্রান্ত কিছু নথি রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছেন সিবিআই অফিসাররা।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup