ঠিক দু’দিন আগে চিটফান্ড কাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে হালিশহর পুরসভার পুরপ্রধান রাজু সাহানি–কে। সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করেছে। এখন তিনি পাঁচদিনের সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। রাজুর রিসর্ট এবং বাড়ি থেকে ৮০ লক্ষ টাকা, কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির নথি, একটি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র–সহ কয়েকটি কার্তুজ উদ্ধার করেছে সিবিআই। এবার আবার হালিশহরে হানা দিয়েছে সিবিআই টিম।
কেন সিবিআই টিম ফের হালিশহরে? সূত্রের খবর, আজ, রবিবার সকালেই সিবিআইয়ের দুটো টিম বেরিয়ে পড়ে। কোনও আগাম খবর ছিল না কারও কাছে। তার মধ্যে একটা টিম রাজু সাহানির মামলায় হালিশহরে যায়। আরও একটি টিমও পৌঁছয় হালিশহর। একসঙ্গে দুটি টিম হালিশহরে হানা দেওয়ায় জোর শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নতুন করে আবার রাজু সাহানির বাড়িতে তল্লাশি চালানো হতে পারে। ইতিমধ্যেই একটি টিম বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর বাড়িতে গিয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? সিবিআই সূত্রে খবর, এই রাজু সাহানির বিরুদ্ধে বহু অভিযোগ রয়েছে। এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি তিনি কেমন করে বানালেন? তা খতিয়ে দেখতেই ফের টিম গিয়েছে হালিশহরে। এছাড়া তিনি অনেককে চমকাতেন বলেও অভিযোগ পেয়েছে সিবিআই। গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। তাঁর কাছে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কেও তথ্য খুঁজতে শুরু করা হয়েছে। এমনকী নেপথ্যে কারা কারা জড়িত তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সিবিআই কী তথ্য পেয়েছে? ২০১৯ সালে অর্জুন সিং বিজেপিতে যোগদান করলে রাজু সাহানিও দলবদল করেন। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে আবার তৃণমূল কংগ্রেসে ফেরেন রাজু। আবার পুরপ্রধান হন। সুতরাং তিনি অর্জুন ঘনিষ্ঠ বলেও জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। উত্তর ২৪ পরগনার হালিশহরের বলদেঘাটায় গঙ্গার ধার ঘেঁষে রাজু সাহানির রিসর্ট। সিবিআই এই রিসর্ট থেকেই উদ্ধার করেছে লক্ষ লক্ষ টাকা। তাঁর সম্পর্কে তথ্য জানতেই তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের বাড়িতে যান সিবিআই টিম বলে মনে করা হচ্ছে।