আরজি কর কাণ্ডের মতো ঘটনাতেও সিবিআই তদন্ত নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছেন নিহত তরুণী চিকিৎসকের বাবা - মা। এবার একই রকম প্রশ্ন উঠল হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডের তদন্তে সিবিআইএর মনোভাব নিয়ে। হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে আদালতে সাক্ষ্য দিতে হাজির না হওয়ায় সিবিআইয়ের ২ আধিকারিকের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল নিম্ন আদালত। তবে কি রাজ্যে শাসকদলকে অস্বস্তিতে ফেলে এমন কোনও তদন্তে বিশেষ আগ্রহ নেই সিবিআইয়ের? প্রশ্ন তুলছে বাম ও কংগ্রেস।
সোমবার হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডের শুনানিতে আদালতে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সিবিআইয়ের ২ আধিকারিকের। আদালতের সমন রিসিভ করলেও কোনও কারণ না জানিয়ে এদিন সাক্ষ্য দিতে হাজির হননি সিবিআইয়ের অতিরিক্ত সুপার এমআর হাজং ও ডিএসপি অভয় কুমার। কেন তারা হাজির হননি তার কোনও জবাব দিতে পারেননি রানাঘাট আদালতে হাজির সিবিআইয়ের আইনজীবী। এর পর ওই ২ আধিকারিকের বিরুদ্ধে জামিনযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
২০২২ সালের ৪ এপ্রিল নদিয়ার হাঁসখালি থানা এলাকায় এক নাবালিকাকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল নেতার ছেলে সোহেল গয়ালি ও তাঁর বন্ধুদের বিরুদ্ধে। এর পর কিশোরীর মৃত্যু হলে কার্যত পরিবারের কাছ থেকে দেহ ছিনতাই করে কোনও ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া দেহ দাহ করে দেয় তারা। এই ঘটনায় সোহেল ওরফে ব্রজ ও তাঁর বন্ধু প্রভাকর পোদ্দারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তের ভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। তারা এই ঘটনায়রঞ্জিত মল্লিক, দীপ্ত গয়ালি, আকাশ বাড়ুই, পীযূষকান্তি ভক্ত, অংশুমান বাগচী, সমরেন্দু গয়ালি ও এক নাবালককে গ্রেফতার করে। ঘটনার ৮৫ দিনের মাথায় আদালতে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। ঘটনায় সোহেল ও রঞ্জিতকে মূল অভিযুক্ত বলে জানায় তারা।
এই ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গে নারী নির্যাতনের ঘটনায় সুবিচার দিতে সিবিআই কতটা তৎপর তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন উঠছে, নিজেদের কি আদালতের ঊর্ধ্বে ভাবতে শুরু করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা? বাম ও কংগ্রেসের দাবি, আদালত যতই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিক এরাজ্যে সুবিচারের আশা কম। কারণ তৃণমূল অস্বস্তিতে পড়ে এমন কোনও কাজ করবে না বিজেপি। আরজি কর কাণ্ডেও আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে বামপন্থীরাই।