বর্ষা শুরু হতেই রাজ্যে একাধিক এলাকায় নদী পাড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। কিন্তু ভাঙন রোধে কেন্দ্র সাহায্য করছে না বলেই অভিযোগ তুললেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। তার দাবি, কেন্দ্র সরকার আর্থিক সাহায্য দিলে ভাঙন রোধে করা সম্ভব হতো। কিন্তু তা না দেওয়ায় রাজ্য সরকার নিজের সাধ্যমত ভাঙন রোধের চেষ্টা করছে। একইসঙ্গে বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধেও কাজ না করার অভিযোগ তুলেছেন সেচমন্ত্রী।
আজ শিলিগুড়ির তিস্তা ভবনে সেচ দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মন্ত্রী। বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অভিযোগ করেন, ‘বিজেপির বিধায়করা টাকা পাচ্ছেন। কিন্তু কোনও কাজ করছেন না।’ সেক্ষেত্রে বিজেপি বিধায়কদের কাছে মন্ত্রীর আবেদন, ‘মানুষকে বাঁচানোর জন্য কাজ করুন। প্রয়োজনে কেন্দ্রের কাছে আবেদন করুন। বাঁচলে এই এলাকার মানুষই বাঁচবে।’ এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে ইডি, সিবিআই নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘মানুষকে বাঁচানোর দিকে না তাকিয়ে শুধুমাত্র রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ইডি, সিবিআইকে ব্যবহার করতে ব্যস্ত বিজেপি।’ আগামী দিনে ভারতীয় জনতা পার্টি পায়ের নীচে মাটি পাবে না বলে তিনি দাবি করেছেন।
গত কয়েকদিন তিনি উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের কয়েকটি প্রত্যন্ত গ্রামে ঘুরে নদীগুলির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন মন্ত্রী। কথা বলেন স্থানীয়দের সঙ্গে। তাদের সমস্যার কথা শোনেন। নভেম্বর মাসে ফের একবার এলাকাগুলি পরিদর্শন করবেন বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘ভাঙন প্রতিরোধ ও কৃষি জমিতে কীকরে আরও সেচের জল পৌঁছে দেওয়া যায় মূলত সেই বিষয়ের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। ভাঙন প্রতিরোধ খুব ব্যয়বহুল। কেন্দ্র সরকারের সাহায্য ছাড়া পরিপূর্ণতা পাওয়া কঠিন ব্যাপার। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের পূর্ণ সহায়তা পাচ্ছি না। কেন্দ্র সাহায্য করলে এতদিনে উত্তরবঙ্গের মানুষদের পুরোপুরি চিন্তামুক্ত করতে পারতাম।’ তিনি আরও বলেন, ‘এলাকার মানুষ বিজেপি নেতাদের বিধায়ক করেছে। তাদের উচিত মানুষের সমস্যার কথা কেন্দ্রের কাছে পৌঁছনো। বিজেপির যারা বিধায়ক রয়েছেন তারা মাইনে নিচ্ছেন কিন্তু মানুষের কাজ করছেন না।’