গ্রামীণ আবাস যোজনায় ৮২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। যে অর্থে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার বাড়ি তৈরি হবে। অর্থের বরাদ্দ করলেও তার সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু শর্ত। ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে শেষ করতে প্রকল্পের কাজ। না হলে বরাদ্দ বাতিল করে করে দেবে কেন্দ্র।
কেন্দ্রের এই কড়া শর্ত পেয়ে গ্রামীণ আবাসন প্রকল্পের কাজ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে শেষ করতে রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে নবান্নে। এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত বিডিও, পঞ্চায়তে সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরের কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। শনি, রবিবারও ছুটির দিনেও দফতর খোলা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব নগেন্দ্রনাথ সিং ৬ দফা নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন নবান্নে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে আগামী ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্দিষ্ট করে ফেলতে হবে ১১লক্ষ ৩৬ হাজার উপভোক্তার নাম। গ্রামসভার অনুমোদন করিয়ে প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকাও তাঁদের অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দিতে হবে।
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ওই সময়সীমার মধ্যে উপভোক্তাদের অর্থ বরাদ্দ না করলে সেই বরাদ্দ অর্থ বাতিলও করে দেওয়া হতে পারে। এই জন্য প্রকল্পের টাকা ট্রেজারি থেকে একটি নোডাল অ্যাকাউন্টে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর সঙ্গে সোশ্যাল অডিটও চালিয়ে যেতে হবে।
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে প্রকল্পের নাম ও লোগো ব্যবহার করতে হবে এই প্রকল্পের অধীনে তৈরি প্রতিটি বাড়িতে। এর সঙ্গে ব্লক পর্যায়ের আধিকারিকদের 'এরিয়া অফিসার্স মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন' ব্যবহার করে নজরদারি চালাতে হবে।
কেন্দ্রের এই কড়া নির্দেশিকার প্রেক্ষিতে পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, 'আমরা জেলাশাসকদের খুব দ্রুততার সঙ্গে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছি। এই আবাস যোজনায় আগে যেগুলির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল তার প্রথম কিস্তির টাকা দিতে হবে। এখন আমরা শীত ঘুম ঘুমালে গরিব মানুষ বঞ্চিত হবে। কেন্দ্র তখন অজুহাত দেবে আমরা টাকা দিলাম তোমরা কাজ করলে না। প্রয়োজনে রাত জেগে কাজ করতে হবে।' এত অল্প সময়ের মধ্যে ১১ লক্ষ ৩৬ হাজার বাড়ি তৈরির কাজ শেষ করা রাজ্য সরকারের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ।