একশো দিনের কাজের টাকা থেকে শুরু করে আবাস যোজনার টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না। এই অভিযোগ বারবার করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী চিঠিও লিখেছেন। এবার বর্ধমানে এসে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরি দাবি করলেন, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলছেন, একশো দিনের কাজের টাকা দেওয়া হচ্ছে না। তারা অডিট রিপোর্টই দিচ্ছে না। রিপোর্ট জমা দিলেই কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দেবে। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ক্ষেত্রেও বিষয়টি একই। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অন্য কোনও রাজ্য ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা’র নাম বদল করেনি।’
ঠিক কী বলছেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী? রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘সমস্ত নথি এবং তথ্যপ্রমাণ কেন্দ্রকে দেওয়া হয় এবং হয়েছে। এখন যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা যদি সত্যি হয়, তাহলে আগে বলা হয়নি কেন? প্রত্যেকবার এসে নতুন নতুন কথা বলবেন, আর মানুষকে বিপদে ফেলবেন! আবাস যোজনার ক্ষেত্রে প্রধাননন্ত্রীর নাম না দিলে টাকা দেওয়া হবে না, এটা কী যুক্তি? রাজ্য সরকার কারও নাম নেয়নি, ‘বাংলা’র নাম উল্লেখ করেছে।’
আর কী জানা যাচ্ছে? নবান্ন সূত্রে খবর, গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে ১০০ দিনের কাজে মজুরি বাবদ সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি বকেয়া আছে। ২০২১ সালের ১৪ অগস্ট থেকে ইমারতি দ্রব্যের টাকাও দেওয়া হয়নি। সবমিলিয়ে মোট ৭৩০০ কোটি টাকা কেন্দ্রের কাছে বকেয়া। যার জেরে প্রায় সওয়া কোটি বৈধ জব কার্ডধারীর মজুরি আটকে রয়েছে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বর্ধমানে প্রশাসনিক জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন, ১০০ দিনের প্রকল্প, বাংলা আবাস যোজনা, বাংলা সড়ক যোজনার টাকা আটকে রাখা হয়েছে। তাই সাংসদদের প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছেন তিনি। এমনকী তিনি নিজেও নয়াদিল্লি যাবেন। তিনি সরাসরি প্রশ্ন তোলেন, আবাস যোজনায় গুজরাত, উত্তরপ্রদেশ এবং মহারাষ্ট্রে নিজেদের রাজ্যের নাম থাকলে ‘বাংলা’র ক্ষেত্রে কেন্দ্রের আপত্তি কীসের?