লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্টা এখনও ঘোষণা হয়নি। তবে এরই মধ্যে শুক্রবার রাজ্যে পৌঁছেছে ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। শনিবার সকাল থেকে জেলাগুলিতে রুট মার্চ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। জলপাইগুড়ি জেলাও রয়েছে সেই তালিকায়। শনিবার সকাল থেকে জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া ৭৩ মোড় থেকে বাহাদুর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী রুট মার্চ করে। সঙ্গে ছিল স্থানীয় থানার পুলিশ। সেই রুট মার্চ চলাকালীনই স্থানীয় ভোটাররা গত বিধানসভা এবং লোকসভা সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পেরেছিলেন কিনা? কেউ তাদের কেউ দিচ্ছে কিনা অথবা নিজের ভোট নিজেরাই দিতে পেরেছেন কিনা সে বিষয়ে জানতে চাইল কেন্দ্রীয় বাহিনী।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় বাহিনী আসতেই তৎপর বিরোধীরা, টহলদারি শুরু করার দাবি উঠতে শুরু করেছে
এদিন রুটমার্চের সময় উপস্থিত ছিলেন কোতোয়ালি থানার আইসি সঞ্জয় দত্ত। তিনি বাসিন্দাদের কাছে জানতে চান কোনও রকমের ভয়ের পরিবেশ রয়েছে কিনা। যদিও কোনও ধরনের অভিযোগ করেননি বাসিন্দারা। তবে শুধুমাত্র একজন বাসিন্দা দাবি করেছেন যে তিনি শুনেছেন কিছু কিছু জায়গায় ভোটাররা ভোট দিতে পারেননি।
প্রসঙ্গত, ভোট ঘোষণার আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এ বিষয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, ভোট ঘোষণার আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে এসেছে। এর আগে কোনওদিন এরকম হয়নি। এত আগে কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে আসার ফলে স্কুল কলেজগুলিতে পড়াশোনার অসুবিধা হচ্ছে।
শিক্ষকদের একটি সংগঠনও এই সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তাদের বক্তব্য, সবেমাত্র মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা শেষ হয়েছে। এখন আবার স্কুল খুলেছে। এমন অবস্থায় ফের কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকার জন্য স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে পড়াশোনার প্রতি পড়ুয়াদের আগ্রহ কমবে। স্কুলছুটদের সংখ্যাও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা শিক্ষকদের। এই অবস্থায় স্কুলের পরিবর্তে যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী অন্য কোথাও রাখা যায় সেই দাবি জানিয়েছেন শিক্ষকরা।
যদিও বিজেপি এতে পড়ুয়াদের সমস্যার কিছুই দেখছে না। তাদের বক্তব্য, তৃণমূল চাপ দিয়ে ভোট করতে পারবে না, ভোটারদের হুমকি দিতে পারবে না সেই কারণে কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে আপত্তি জানাচ্ছি। জলপাইগুড়ি জেলার পুলিশ সুপার উমেশ খণ্ডবহালে জানাচ্ছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে নিয়ে নিয়মিত টহলদারি চালানো হবে। প্রতিটি থানা এলাকায় বুথে বাহিনী নিয়ে টহল দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর তরফে জানানো হয়েছে, যাতে নিরাপদে ভোট হয় তার জন্য পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই টহলদারি চালানো হচ্ছে।